যেসব গানে অমর হয়ে থাকবেন আলাউদ্দিন আলী

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:০৫ পিএম, ০৯ আগস্ট ২০২০

বাংলা গান তথা বাংলা চলচ্চিত্রের গানে কিংবদন্তি আলাউদ্দিন আলী। একই সঙ্গে সুরকার, সংগীত পরিচালক, বেহালাবাদক ও গীতিকার। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের বহু নন্দিত কণ্ঠশিল্পী তার সুরে গান করে নিজেদের সমৃদ্ধ করেছেন।

আজ রোববার (৯ আগস্ট) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। রাজধানীর মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিংবদন্তি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৮ বছর।

তার লেখা, সুর করা ও সংগীত পরিচালনায় অসংখ্য গান শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। চলচ্চিত্র, বেতার, টেলিভিশন মিলে প্রায় হাজার পাঁচেক গান তৈরি করেছেন তিনি। সেসব গান আজও মুখে মুখে ফেরে।

আলাউদ্দিন আলীর জনপ্রিয় ও কালজয়ী কিছু গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- একবার যদি কেউ ভালোবাসতো, যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়, ইস্টিশনের রেলগাড়িটা, দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয়, হয় যদি বদনাম হোক আরো, ও আমার বাংলা মা তোর, আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার, সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী হয়ে কারও ঘরনি, সূর্যোদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি ও আমার বাংলাদেশ, বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম দেখা পাইলাম না, যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে, মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে, এমনও তো প্রেম হয়, চোখের জলে কথা কয়, সবাই বলে বয়স বাড়ে, আমি বলি কমে রে, আমায় গেঁথে দাওনা মাগো, একটা পলাশ ফুলের মালা, শত জনমের স্বপ্ন তুমি আমার জীবনে এলে, তোমাকে চাই আমি আরও কাছে, এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই, কেউ কোনোদিন আমারে তো কথা দিল না, পারি না ভুলে যেতে, স্মৃতিরা মালা গেঁথে, জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো, ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা।

আরও আছে আমার মনের ভেতর অনেক জ্বালা আগুন হইয়া জ্বলে, হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ, ভালোবাসা যতো বড়ো জীবন তত বড় নয়, প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ, বাড়ির মানুষ কয় আমায় তাবিজ করেছে, আকাশের সব তারা ঝরে যাবে, এ জীবন তোমাকে দিলাম, কেন আশা বেঁধে রাখি, সাগরিকা বেঁচে আছে তোমারই ভালোবাসায়, দিন কি রাতে, আমার মতো এত সুখী নয় তো কারো জীবন ইত্যাদি।

এলএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।