বিদেশে আটকে থাকার চারমাস পর দেশে ফিরলেন ফাহমিদা নবী
করেনার প্রকোপে বিশ্বের হাজার হাজার মানুষ বিদেশে আটকে ছিলেন। দিনের পর দিন নিজের মাতৃভূমি থেকে, পরিবার থেকে দূরে থেকেছেন। ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। বিভিন্ন দেশ চালু করছে আকাশ যোগাযোগ। যার ফলে বন্দী হয়ে থাকা অনেকেই ঘরে ফিরতে পারছেন।
সেই তালিকায় যুক্ত হলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় গায়িকা ফাহমিদা নবী। টানা সাড়ে চার মাস লন্ডনে আটকে থাকার পর দেশে ফিরেছেন তিনি। এসেই গণমাধ্যমে নিজের অনুভূতি জানালেন, ‘মাতৃভূমিতে পৌঁছে গেলাম! নিজেকে প্রচণ্ড হালকা লাগছে।’
চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি একমাত্র মেয়ে আনমলের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য ঢাকা থেকে উড়ে যান ফাহমিদা নবী। কথা ছিলো মার্চে দেশে ফিরে আসবেন। কিন্তু তখন থেকেই বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে করোনা ভাইরাস। দিনে দিনে সেটি মহামারি আকার ধারণ করলে গোটা বিশ্বই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়াতে। তাই ফাহমিদা আর দেশে ফেরার সুযোগ পাননি। অবশেষে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আজ ১৮ জুলাই দেশে ফিরতে পারলেন তিনি।
ফাহমিদা নবী বলেন, ‘গিয়েছিলাম মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাতে। করোনার কারণে আটকে যেতে হলো। সেটাও অবশ্য এতোটা খারাপ লাগতো না যদি না ঘরে এভাবে বন্দী থাকতে হতো। একদিকে আমি ভিনদেশ তার উপর টানা প্রায় সাড়ে চারমাসই ঘরবন্দি! আমার সন্তান সঙ্গে ছিলো বলেই কেবল স্বস্তি বা শান্তি পেয়েছি।
ইচ্ছে ছিলো মেয়েকে নিয়ে ঘুরবো, বেড়াবো। কোথায় কী! লন্ডনে পা ফেলতেই সব লকডাউন। তবে এটাও সত্যি, এই বন্দী সময় জীবনটাকে নতুন করে অনুভব করার সুযোগ করে দিলো।’
দেশে ফিরে ভালো লাগছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এবার জীবনটাকে নতুন করে ব্যস্ত করে তুলতে চাই। গানে গানে।’
এলএ/এমকেএইচ