আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হলাম : হিরো আলম
ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার অনন্ত জলিলের আপকামিং সিনেমায় কাজ করার কথা ছিলো হিরো আলমের। সেই ছবির জন্য আলমকে অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা পারিশ্রমিকও দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু তাকে সেই সিনেমা থেকে বাদ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অনন্ত।
জায়েদ খানের সঙ্গে বিবাদ মেটানোর পরও তাকে নিয়ে সমালোচনা করায় এবং চলচ্চিত্রের মানুষদের আপত্তির কারণেই তাকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন অনন্ত।
আজ ১৬ জুলাই বিকেলে ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে অনন্ত এ ঘোষণা দেন। এদিকে এ ঘোষণাকে নিজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন হিরো আলম।
তিনি আজ ১৬ জুলাই নিজের ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লেখেন, 'আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হলাম'।
এদিকে আজ অনন্ত হিরো আলমকে বাদ দেয়ার ঘোষণা দিয়ে লেখেন, 'চলচ্চিত্র পরিবারের সকল গুণীজনরা হিরো আলমকে নিয়ে সিনেমা না বানানোর জন্য আপত্তি জানাচ্ছেন। রিসেন্টলি তার কিছু অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সকলেই আবারো আমাকে নিষেধ করছেন, তাকে নিয়ে সিনেমার না বানানোর জন্য। সবসময় আমি বিব্রত হচ্ছি, হিরো আলমের এসব বিতর্কিত বিষয় গুলোর জন্য।
দীর্ঘদিন যাবৎ আমি চলচ্চিত্র অঙ্গনে সম্মানের সহিত কাজ করে আসছি। চলচ্চিত্রের প্রতিটি সংগঠনের সাথে ভালো সম্পর্ক আছে, প্রতিটি সংগঠনই আমাকে সম্মানের চোখে দেখে। তাই এই সম্মান রক্ষার্থে, বিতর্কিত কাউকে নিয়ে আমি সিনেমা বানাতে চাই না।
চলচ্চিত্রের কোনো সংগঠনই চাচ্ছে না যে আমি হিরো আলমকে নিয়ে সিনেমা বানাই। চলচ্চিত্রের প্রত্যকটি সংগঠনের সম্মানার্থে আমিও চাই না বিতর্কিত কাউকে নিয়ে সিনেমা বানাতে।'
তিনি জায়েদের প্রসঙ্গ টেনে আরও লেখেন, 'কিছুদিন আগে আমি নিজ উদ্যোগে জায়েদ খানের সঙ্গে হিরো আলমকে মিল করিয়ে দিয়েছিলাম। প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও তাদেরকে নিয়ে একসঙ্গে লাঞ্চ করেছিলাম। মীমাংসা করে দেওয়ার পরেও একই বিষয় নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় হিরো আলম মন্তব্য করছেন যা মোটেও কাম্য নয় ।
আমার এত ব্যস্ততার মাঝেও আমি তাকে পাশে বসিয়েছিলাম, সে আমার মর্যাদা বোঝে নাই। আমার মর্যাদা যেহেতু বোঝে নাই তাই আমি চাই না ভবিষ্যতে তার দ্বারা আমার মর্যাদা ক্ষুন্ন হোক।
আমি চাচ্ছিলাম , তার পাশে দাঁড়িয়ে তাকে সহযোগিতা করার, যাতে করে তার উপকার হয়। এ ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য মানুষের সঙ্গে আমার কাজ করা সম্ভব না। তাই আমি আর তাকে নিয়ে সিনেমা বানাবো না। পঞ্চাশ হাজার টাকা সাইনিং মানি যেটি দিয়েছি সেটি আমি চাইছি না। সেটি তাকে আমি দিয়ে দিলাম।'
এলএ/এমকেএইচ