এন্ড্রু কিশোরের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চাইলেন বাদশা
এন্ড্রু কিশোর শুধু বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী নন, দেশের বাইরেও তুমুল জনপ্রিয় তিনি। প্লেব্যাক জগতে এক অনন্য নাম এন্ড্রু কিশোর। সব চেয়ে বেশি গানের প্লেব্যাক শিল্পী কিশোর। আমি মনে করি তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া প্রয়োজন।
বুধবার এন্ড্রু কিশোরকে শেষ বিদায় জানাতে এসে কথাগুলো বলছিলেন রাজশাহী ২ আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রিয় এই শিল্পীর সংগীত জীবনের জন্য বিশেষ স্বীকৃতি চাইলেন তিনি।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, এন্ড্রু কিশোর গান গেয়ে জীবনে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। আজ তিনি আমাদের মাঝে নেই। দেশে সব চেয়ে বেশি গানের প্লেব্যাক শিল্পী তিনি। আমি মনে করি তার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রয়োজন ছিলে। আজ তাকে আমরা সমাহিত করবো। আমি রাজশাহীর মেম্বার অব পার্লামেন্ট হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো অনতিবিলম্বে তাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হোক।
এছাড়া রাজশাহীতে এন্ড্রু কিশোরের নামে একটি গানের বিদ্যালয় করার ঘোষণা দেন তিনি। প্রতিবছর তার নামে একটি গানের উৎসব করারও ঘোষণা দেন ফজলে হোসেন বাদশা।
প্লেব্যাক সম্রাটকে শেষবারের মতো দেখতে এসেছেন রাজশাহী শহরের সংগীতপ্রেমীরা।
রাজশাহীর স্থানীয় চার্চে আজ ১৫ জুলাই শেষ শ্রদ্ধা জানাতে নিয়ে আসা হয় এন্ড্রু কিশোরকে। সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত গির্জার মধ্যে রাখা হয় তাকে। এরপর প্রিয় গায়কের পরিবার পরিজন ছেলে মেয়েদের নিয়ে প্রার্থনা করেন ফাদার।
প্রার্থনা শেষে সাধারণের শ্রদ্ধা জানাতে চার্চের সামনে রাখা হয় মরদেহ। এখানে সবাই ফুলে ফুলে সিক্ত করেন এন্ড্রু কিশোরকে।
চার্চের আয়োজন শেষ হলে এন্ড্রু কিশোরের মরদেহ নিয়ে আসা হচ্ছে রাজশাহীর কালেক্টরেট মাঠের পাশে খ্রিষ্টানদের কবরস্থানে। সেখানে বাবা-মায়ের কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় যাবেন এদেশের প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর।
প্রসঙ্গত, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ক্যান্সারে (নন-হজকিন লিম্ফোমা) আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন এন্ড্রু কিশোর। ৯ মাস পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন এন্ড্রু কিশোর ১১ জুন রাত আড়াইটার একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফেরেন। তারপর ঢাকার বাসায় বেশকিছু দিন অবস্থান করে শরীরের অবস্থা বিবেচনায় ও কোলাহলমুক্ত থাকতে রাজশাহী চলে আসেন।
তারপর থেকে সেখানে তার বোনের বাসা সংলগ্ন ক্লিনিকেই ছিলেন। সবাইকে কাঁদিয়ে ৬ জুলাই না ফেরার দেশে চলে গেছেন গানের মহারাজ।
এমএবি/জেআইএম