সিঙ্গেল মাদারদের জন্য অপু বিশ্বাসের ভিডিও বার্তা

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:২২ পিএম, ১১ জুলাই ২০২০

করোনাভাইরাস আক্রমণ করেছে সারা দুনিয়ায়। চীন থেকে ইতালি, স্পেন, আমেরিকাসহ বেশ কিছু দেশে চলছে মৃত্যুর মিছিলো। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটছে এই ভাইরাসের সংক্রমণে।

বিশ্বজুড়েই বিপর্যয় নেমে এসেছে। বাংলাদেশেও করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে দিনদিন।
এতে করে খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ পথের বাস্তুহারা মানুষের জীবন পড়েছে হুমকিতে। এমন দিনে ভালো নেই সিঙ্গেল মাদাররা। আর তাদের মনের কথায় তুলে ধরলেন ঢালিউড কুইন খ্যাত অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস।

অপু বিশ্বাস বলেন, ‘সিঙ্গেল মাদার। এই কথাটার মধ্যে খুব একাকিত্ব মনে হয়। কিন্তু আমার সারমর্মে ঠিক তার উল্টো। কারণ একটা মানুষ পৃথিবীতে অনেক কিছু করতে আসে। যখন তার স্বাধীনতায় বাধা দেওয়া হয়, তখন অনেক কিছু করার উপায় থাকে না।

সিঙ্গেল মাদার মানে আমি কারো দায়িত্ব নিয়ে আছি। এটা অনেক গর্বের। অনেক বড় মহামারি আমরা পার করছি। অনেক সমস্যা ফেস করতে হচ্ছে আমাদের।

সিঙ্গেল মাদারদের নিয়ে যেনো সরকার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তারা যেনো ক্ষুদ্র ব্যবসা করে তার সন্তানকে ও পরিবারকে সাপোর্ট দিতে পারে। আমাদের সঙ্গে একজন আপনজন যুক্ত হয়েছে এটা আমাদের জন্য গর্ব। এখন মেয়েরা অনলাইনে বুটিক করছে, রান্না করছে এগুলো দেখে আমার অনেক ভালো লাগে। এরপরও সরকার যদি আমাদের পাশে দাঁড়ান তাহলে আমরা আরও অনেক কিছু করতে পারবো।’

মা ও ছেলেকে নিয়ে অপুর বসবাস। পুরো চার মাস স্বেচ্ছা গৃহবন্দি থাকার পর অবশেষে ছেলে আব্রাম খান জয় ও মা শেফালী বিশ্বাসকে বাইরের জগৎ দেখান অপু বিশ্বাস। এই ১২০ দিনে নিজে কয়েকবার বাইরে গেলেও মা ও ছেলেকে মুহূর্তের জন্যও বাইরে যেতে দেননি অভিনেত্রী। মা ও ছেলেকে নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় থাকেন অপু।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৬ জুলাই তাদের নিয়ে বসুন্ধরার ভেতরেই কিছুক্ষণ ঘুরলেন। অপু বলেন, ‘করোনায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বৃদ্ধ ও শিশুরা। মা আর ছেলেই তো আমার পৃথিবী। তাই তাদের নিয়ে কোনো ধরনের ঝুঁকি নিতে চাইনি। হঠাৎ সেদিন মনে হলো একটাবার হলেও বাসার নিচে নামুক ওরা, নইলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে। অল্প সময় ছিলাম বাইরে। নানি-নাতি খুব মজা করেছে।’

এমএবি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।