বিরাট-আনুশকার চোখ ধাঁধানো রাজপ্রাসাদের দাম কত?

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০৪ পিএম, ০৯ জুলাই ২০২০

ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকা। দলের অধিনায়কও তিনি। বলছি বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মার স্বামী ক্রিকেটার বিরাট কোহলির কথা। দেশের সবচেয়ে চর্চিত সেলেব দম্পতি তারা। বিয়ের পর থেকেই তারা আছেন সুখে-প্রেমে।

২০১৬ সালে কোহলির কেনা ওয়ালির অ্যাপার্টমেন্টই সুখের দাম্পত্য পেতেছেন তিনি। বিয়ের পর নিজের মতো করে এই অ্যাপার্টমেন্ট সাজিয়েছেন বিরাট ঘরনি আনুশকা। ওয়ারলির হাইরাইজ ‘ওমকার-১৯৭৩’-র টাওয়ার সি'র ৩৪তম তলায় থাকেন বিরাট ও আনুশকা।

jagonews24

সেই বাড়ির বারান্দা থেকে আরব সাগর দেখা যায়। চোখে পড়ে আস্ত মুম্বাই শহর। ৭ হাজার ১৭১ স্কয়ার ফুটের বাড়িটি যেন এক রাজপ্রাসাদ। কত মূল্য সেই প্রসাদের? জানাবো। তার আগে জেনে নিন কি আছে এই প্রাসাদসম বাড়িতে।

এই দম্পতির পশুপ্রেম অজানা নয় ভক্তদের। বাড়িতে তাই পোষ্যদের জন্য আলাদা একটা জায়গা থাকবে সেটা তো স্বাভাবিক। এই আবাসনের মধ্যেই পোষা প্রাণিদের জন্য ক্লিনিং, স্পা রয়েছে। আছে নিজেদের জন্য টেনিস কোর্ট থেকে শুরু করে সুইমিং পুল, জিম। পার্টির আয়োজনের জন্য আলাদা ব্যাঙ্কোয়েট-সমস্ত রকমের ব্যবস্থা রয়েছে।

jagonews24

বাড়িতে চার বেডরুম অ্যাপার্টমেন্টের সিলিংয়ের উচ্চতা ১৩ ফুট। বিরুশকার সুসজ্জিত লিভিং রুম। মাঝ বরাবর ঝারবাতিটি বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ঝুলন্ত। সামনে কাঁচের দেওয়ালটিও নজরকাড়া। লিভিং রুমের পাশ দিয়েই উঠে গিয়েছে সিঁড়ি। লিডিং রুমে রয়েছে একটি পিয়ানোও।

দারুণভাবে গুছানো স্টাডি রুমটি দুই তারকা ব্যবহার করেন অফিসিয়াল কাজকর্মের জন্য। কিচেন লাগোয়া তাদের ডাইনিং রুম। এখানে সিলিং থেকে ঝুলছে আলোকসজ্জা। বাড়ির সর্বত্রই অফ হোয়াইট, বেইজ রঙ। দেওয়াল ও সিলিংয়ে ডার্ক রঙের ব্যবহার একে বারেই চোখে পড়ে না। সুবিশাল শয়নকক্ষেও রয়েছে সি-থ্রু দেওয়াল। অর্থাৎ কাঁচ দিয়ে ঘেরা।

jagonews24

এই দম্পতির স্নানঘরও চমকে দেবে যে কাউকে। আর চারদিকে আছে সবুজ। গাছেদের সঙ্গে আনুশকার গভীর বন্ধুত্ব। বাড়িতে আছে নায়িকার কিচেন গার্ডেন। মুম্বাইয়ের এই হাই রাইজ থেকে বাইরের আকাশের ভিউ সত্যি অপূর্ব।

এই বাড়িটি বিরাট কিনেছিলেন ৩৪ কোটি রুপিতে!

এলএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।