পাঁচ দাবিতে এক হবেন কি গীতিকারেরা?
করোনাকালে সংকট কাটানোর লক্ষ্যেই বিভিন্ন প্রজন্মের সংগীতশিল্পীরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আর কোনও ফ্রি অনুষ্ঠান করবেন না তারা। ২৪ জুন দিনজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেসবুক স্ট্যাটাসে শিল্পীরা সবাই জানান দিয়েছেন বিষয়টি। শতাধিক শিল্পী জোট বেঁধে আনুষ্ঠানিক ভাবে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছেন তারা। সম্মানি ছাড়া কোনো ধরণে শো করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন শিল্পীরা।
এরপর জনপ্রিয় গীতিকার জুলফিকার রাসেল একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন গীতিকার-সুরকার ও সহশিল্পীদের অধিকার নিয়ে। এখানে পাঁচটি দাবি তুলে ধরেছেন তিনি।
জুলফিকার রাসেলের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন দেশের অধিকাংশ গীতকবি। এ তালিকায় রয়েছেন- গীতিকবি ও সংগীতশিল্পী প্রীতম আহমেদ, শফিক তুহিন, মিলন খান, শেখ রানা, রবিউল ইসলাম জীবন, সোমেশ্বর অলি, সাকি আহমেদ, লুৎফর হাসান, সাগর চৌধুরী, এ মিজান, ফয়সাল রাব্বিকীন, তারেক আনন্দ, ওমর ফারুক বিশাল প্রমুখ।
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা জুলফিকার রাসেলর পাঁচটি দাবি জাগো নিউজকের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো। এই পোস্টে তিনি লিখেছেন-
সাধুবাদ জানাই, শতাধিক কণ্ঠশিল্পী ঘোষণা দিয়েছেন- তারা সম্মানি ছাড়া কোনো ধরনের শো করবেন না! আমি আশা করি, তারা এও ঘোষণা দেবেন-
এক. এখন থেকে সম্মানির বিনিময়ে তারা যেসব গান পারফর্ম করবেন, তার একটা ভাগ গীতিকবি, আরেকভাগ সুরস্রষ্টা এবং আরেকভাগ সহশিল্পীদের জন্যেও রাখবেন! শিল্পীরা নিজেরাও জানেন গানটা হাওয়া থেকে ভেসে আসেনি!
দুই. এখন থেকে যথাযথ সম্মানি গ্রহণ না করে কোনো গান কোম্পানিকে দেবেন না! যথাযথ সম্মানি না দিয়ে কোনো লিরিক বা সুর ব্যবহার করবেন না! (অনেক নতুন গীতিকবি বা সুরস্রষ্টা একটি গান প্রকাশের আশায় আপনার কাছে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক! কিন্তু নৈতিক মূল্যবোধ থেকে আপনারা যথাযথ সম্মানি প্রদান করবেন! কেননা ভবিষ্যতে এই গান আপনি বিভিন্ন শোতে সম্মানির বিনিময়ে পারফর্ম করবেন!)
তিন. গান গাওয়ার সময় নিজের গান বলে চালিয়ে দেবেন না! আপনি কণ্ঠ দিয়েছেন! গানটা লিখেছেন এবং সুর করেছেন হয়তো অন্য আরেকজন! দয়া করে তাদের নাম সম্মানের সঙ্গে উল্লেখ করবেন!
চার. যন্ত্রশিল্পীদের কথাও ভাববেন! তারাও যেন যথাযথ সম্মানি পেতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করবেন! যেখানে এটা সম্ভব হবে না, সেই শো করবেন না! এই নীতিতে অটল থাকবেন!
পাঁচ. এখন যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেটা সারাজীবন মনে রাখবেন!
এমএবি/জেআইএম