মিথিলার বাড়ি থেকে জামাই ষষ্ঠীর আদর পেলেন না সৃজিত
বিয়ের পরবর্তী সময়গুলো যেখানে আনন্দে খোশ মেজাজে ঘুরে ফিরে কাটানো কথা, সেখানে সৃজিত-মিথিলার সময় কাটছে লকডাউনে পৃথক দুটি দেশে ঘরে বন্দি হয়ে। করোনাভাইরাসের কারণে ঈদে শ্বশুর বাড়িতেও বেড়াতে আসতে পারলেন না এই নির্মাতা। গতকাল বৃহস্পতিবার পার হয়ে গেল বিয়ের পর প্রথম জামাই ষষ্ঠী।
শুধু খাবারে চোখ রেখেই দিনটি কাটাতে হলো সৃজিতকে। অথচ এই দিনে ইলিশ, মাটন আর পঞ্চব্যাঞ্জনে মেতে ওঠার কথা ছিলো তার। বাংলাদেশের নতুন জামাই সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের এবার জামাই ষষ্ঠীতে শাশুড়ির হাতের মাটন,ভর্তা, রোস্ট খাওয়া হল না।
বৃহস্পতিবার খাবারের টেবিলে সাজানো লোভনীয় সব খাবার আর সৃজিতের গতবারের ঢাকা সফরের একটি ছবি শেয়ার করে মিথিলা লেখেন, ‘এবার জামাই ষষ্ঠীতে নিজেই ভালোমন্দ কিছু খেয়ে নাও।’
তবে শোনা যাচ্ছে, এবার ঢাকাতে আসলেই সৃজিতকে তার পছন্দের খাবার খাইয়ে নিয়ম করে জামাই ষষ্ঠী সারবেন মিথিলার মা।
গত ডিসেম্বর মাসে হঠাৎ করেই বিয়ে সেরে ফেলেন সৃজিত-মিথিলা। বিয়ের চার মাস পার হতে না হতেই করোনাভাইরাস তাদের আলাদা থাকতে বাধ্য করেছে। বিয়ের পর বেশ কাটছিল তাদের সময়গুলো। কখনো সৃজিত বাংলাদেশে আসছিলেন মিথিলাদের বাড়িতে, কখনো মিথিলা ভারতে যাচ্ছিলেন শ্বশুরালয়ে।
কিন্ত কী আর করার আছে! বিয়ের রিসেপশনের পর সৃজিত আফ্রিকায় যান শুটিং করতে। অন্যদিকে মেয়ে আইরাকে নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন মিথিলা। কিন্তু করোনার কারণে আর দেখা হয়নি তাদের।
করোনার লকডাউনের জেরে আপাতত বন্ধ আছে সব ফ্লাইট ও গাড়ি চলাচল। ফলে আফ্রিকা থেকে তড়িঘড়ি দেশে ফিরে এলেও, মিথিলার দেখা পাননি সৃজিত। মিথিলা বাংলাদেশেই আছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয় পেরিয়ে আবার কবে আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে বিমান চলাচল করবে, সেই আশাতেই আছেন এই দম্পতি।
এমএবি/এমএস