ঈদে যাও পাখি বলো
শাথিল আর ঐশী সুখী দম্পতি। তাদের মধ্যে হঠাৎ করেই শাথিলের বন্ধু সীমানা এসে সম্পর্কে চির ধরায়। ঐশী অবিশ্বাস করতে শুরু করে শাথিলকে।
ঐশী ভেবেই নেয় শাথিল আর সীমানার মধ্যে গোপন প্রেম আছে। এক সময় সন্দেহের মাত্রা এতোটাই বড়ে যায় ঐশী শাথিলের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি দিয়ে গৃহত্যাগ করে প্রবাসে চলে যায় তার বাবা-মার কাছে। শাথিল অনেক খুজেও ঐশীর সন্ধান পায় না।
হঠাৎ ১৫ বছর পর একটা রেস্টুরেন্টে ঐশীর সঙ্গে শাথিলের দেখা হয়। শাথিল ঐশীকে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে যায়। তারপর একই কফি টেবিলে মুখোমুখি বসে ওরা দুজনে। পুরোনো প্রসঙ্গে কথা বলতে থাকে দুজনে।
ঐশী জানতে পারে সীমানা ছিলো শাথিলের ইউনিভার্সিটি ফ্রেন্ড। একটা ব্যক্তিগত ক্রাইসিসে পড়ে সীমানা একজন বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে শাথিলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। কিন্তু সীমানার নিষেধ ছিলো তার এই ক্রাইসিসের কথা যেন শাথিল তার স্ত্রী ঐশীকে না জানায়।
কথায় কথায় শাথিল তখন ঐশীকে জানায়, আসলে সীমানার ক্যান্সার হয়েছিল। তাই সে চায়নি বেঁচে থাকার অল্প ক'টা দিন কারও সিম্পেথি নিতে। তাই ব্যাপারটা সবার কাছ থেকে আড়াল রাখার অনুরোধ করেছিল সীমানা। শাথিল আরো জানায় সীমানা আর বেঁচে নেই।
সব জেনে ঐশী কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। শাথিল ঐশীকে আবার নতুন করে জীবন শুরু করার জন্য অনুরোধ জানায়। তখনই সামনে এসে দাঁড়ায় রাশেদ, ঐশীর নতুন স্বামী। স্তম্ভিত হয়ে যায় শাথিল। মেনে নেয় জীবনের নতুন বাস্তবতাকে।
বাকিটুকু দেখতে ও জানতে হলে দীপ্ত টিভিতে ঈদের চতুর্থ দিনে চোখ রাখতে হবে রাত সাড়ে ৮ টায়।
জহির করিমের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন আদিত্য জনি। এতে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ, তাসনুভা তিশা, তাসনিয়া ফারিন, রোমেল, তালহা খান প্রমুখ।
নাটকটি প্রসঙ্গে নির্মাতা আদিত্য জনি বলেন, 'চমৎকার গল্পের এই নাটকটি সব শ্রেণির দর্শকদের মন ভরাতে সক্ষম হবে। অভিনয় শিল্পীরা চরিত্রের সঙ্গে মিশে গিয়ে অনবদ্য অভিনয় করেছেন। তাদের অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করবে।'
এলএ/পিআর