বিএমডিসির নির্বাচন নভেম্বরে
মেয়াদোত্তীর্ণ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)`র নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের লক্ষ্যে চলিত বছরের নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যেই ৬৬ সদস্যের কমিটি চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান শেষে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
কমিটিতে সরকারি, বেসকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মনোনীত বিভাগীয়, বার কাউন্সিল, মহিলা সাংসদ, আর্মি মেডিকেল সার্ভিসেস, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্রাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমপিএ) ও স্বাস্থ্য অধিদফতর মনোনীত প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
বিএমডিসির রেজিস্ট্রার ডা. জাহেদুল হক (জেডএইচ) বসুনিয়া রোববার জাগো নিউজকে জানান, এ মাসের শেষ সপ্তাহে বিএমডিসির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সাধারণ সভার দিনক্ষণ নির্ধারিত হতে পারে। নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে সাধারণত এক মাস সময় দেয়া হয়ে থাকে, সে হিসাবে নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে।
দেশের সামগ্রিক চিকিৎসা শিক্ষার মানোন্নয়ন ও চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেয়ার এখতিয়ারসহ গুরত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে বিএমডিসি। বিএমডিসির কার্যক্রমের মধ্যে এমবিবিএস ও বিডিএস-এর কোর্স কারিকুলাম প্রণয়ন, পাশকৃত চিকিৎসকদের সাময়িক ও স্থায়ী প্রদান, চিকিৎসকদের নীতি-নৈতিকতা ইত্যাদি দেখভাল করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৪ সালের মে মাসে বিএমডিসির কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী কমিটি দায়িত্বভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বলা হলেও মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির নেতারা শুধুমাত্র দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন। ফলে বিএমডিসির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বড় কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা মেয়াাদোত্তীর্ণ কমিটির নেই বলে জানা গেছে। গত এক বছর ধরে বিএমডিসি বড় কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
মেয়াদোত্তীর্ণ বিএমডিসির কার্যনির্বাহী ৮ সদস্যের কমিটিতে সভাপতি, সহ-সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ ও পাঁচজন সদস্য রয়েছেন। বর্তমানে সভাপতি হিসেবে অধ্যাপক ডা. আবু শফি আহমেদ আমিন, সহ-সভাপতি হিসেবে বিএমএ ও স্বাচিপ নেতা অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, কোষাধক্ষ্য ডা. রোকেয়া সুলতানা ও সদস্যপদে ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া, অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, অধ্যাপক ডা. এবিএম মাকসুদুল আলম ও অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক রয়েছেন।
৬৬ সদস্যের কেন্দ্রীয় কার্যনিবার্হী কমিটিতে অন্যান্যরা স্থায়ী স্বীকৃতি প্রদান কমিটি, শৃঙ্খলা কমিটি, জার্নাল কমিটি ও ভবিষ্যত সঞ্চয় তহবিল পরিচালনা কমিটিতে রয়েছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ৬৬ সদস্যেও কমিটিতে স্থান পেলেও বর্তমানে কার্যনির্বাহী কমিটিতে স্থান পেতে জোর লবিং গ্রুপিং চলছে। সামনে স্বাচিপের সম্মেলন। সম্মেলনে যে সব শীর্ষ স্বাচিপ নেতার ঠাঁই হবে না তাদের মধ্য থেকে কার্যনিবার্হীর সভাপতি, সহ-সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ ও সাধারণ সদস্য মনোনীত ও নির্বাচিত হবেন।
এমইউ/জেডএইচ/আরএস/এমএস