আটক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা : অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার


প্রকাশিত: ০২:৫৭ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০১৫

বগুড়ার গাবতলীতে এক ব্যক্তিকে আটকের পর পিটিয়ে হত্যা করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এক দল পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখে এলাকাবাসী। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করার আশ্বাস দিলে চার ঘণ্টা পর এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নিয়ে তাদের মুক্ত করে দেন। নিহত মোখলেছার রহমান (৪৫) গাবতলী থানার মহিষাবান ইউনিয়নের দড়িপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে গাবতলী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুস সবুর সঙ্গে কনস্টেবল আব্দুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে গোলাবাড়ি বাজার এলাকায় যান। সেখানে মোখলেছুর রহমানের খোঁজ করে মড়িয়া ছয়মাইল এলাকায় তাকে পেয়ে আটক করেন। এরপর তাকে সেখানেই মারপিট শুরু করলে ঘটনাস্থলেই মোখলেছারের মৃত্যু হয়। এ দৃশ্য দেখে এলাকাবাসী ওই দুই পুলিশ সদস্যকে আটকে রাখে।

খবর পেয়ে গাবতলী থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে মরদেহ এবং আটকদের থানায় নিয়ে আসার চেষ্টা করলে জনগণ তাদের বাধা দেয়।

এদিকে, মৃত্যুর খবর ওই এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে হাজার-হাজার নারী-পুরুষ লঠিসোটা নিয়ে থানা থেকে আসা পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখে।

বেলা ৩টার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডলের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এ সময় উত্তেজিত জনতার উদ্দেশ্যে বলা হয়, ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে সেটি হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে।

প্রত্যক্ষদর্শী আলতাব, হামিদুর ও উজ্জল অভিযোগ করে বলেন, নিহতের ছোট ভাই আতিয়ার রহমান বুধবার গাবতলী মডেল থানায় মোখলেছারের বিরুদ্ধে বাঁশ কাটার ঘটনায় একটি অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে মামলা ছাড়ায় পুলিশ মোখলেছারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার চেষ্টা করে। এ সময় তিনি থানায় যেতে না চাইলে তাকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করা হয়। এর কিছু সময় পর ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

গাবতলী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন জানান, অবরুদ্ধ করে রাখা পুলিশ সদস্যরা বর্তমানে থানায় নিরাপদে আছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এছাড়া এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডলের জানান, কেন এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটলো সেটি তদন্ত করে দেখা হবে। আর দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

লিমন বাসার/এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।