যৌনকর্মীদের বাড়িতে মোম নেই, প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা স্বস্তিকার

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১১ পিএম, ০৫ এপ্রিল ২০২০

দিন দুয়েক আগেই ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের নিয়ে সরব হয়েছিলেন স্বস্তিকা। তাদের ওপর নির্বিচারে রাস্তায় বসিয়ে জীবাণুনাশক স্প্রে ছড়ানোয় যোগী আদিত্যনাথ সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। দেশের দুস্থ মানুষেরা যে আরও কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, সেই উদ্বেগও প্রকাশ করেছিলেন অভিনেত্রী।

এবার যৌনকর্মীদের অভাব-অসুবিধা ও সমস্যা নিয়ে সরব হলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।

একটি ছবি পোস্ট করে বর্তমান সময়ে পতিতালয়ের রূঢ় বাস্তব দৃশ্য তুলে ধরেছেন স্বস্তিকা। যেখানে দেখা যাচ্ছে যৌনকর্মীদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। লকডাউনে সন্তান-সন্ততি নিয়ে তাদের ভরসা বলতে শুধু ১০০ ফুট একটি জায়গা। যেখানে শুধু একটি বেঞ্চ রয়েছে। ওটাতেই দিন-রাত পালা করে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমাচ্ছেন তারা।

যদিও ছবিটি ৩১ মার্চের। এই ছবিটিকেই শুক্রবার শেয়ার করে স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘দেশবাসীকে একজোট হয়ে করোনা মোকাবিলার ডাক দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু যাদের বেঁচে থাকাটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে জল, খাবার, রেশন, টাকা না পেয়ে তারা মোমবাতি কোথায় পাবে?’

প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্দেশে খানিক ব্যঙ্গাত্মক সুরেই বললেন, ‘ওহ! যৌনকর্মীদের তো বেঁচে থাকার জন্য শুধু যৌনতারই প্রয়োজন তাই না!’

‘আমার বাড়িতে মোমবাতি নেই। আমি নিশ্চিত আমার মতো এরকম অনেকের বাড়িতে মোম মজুত নেই! চলুন সবাই মিলে মোমবাতি কিনতে যাই'- এভাবেই নিজের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোঁচা দিলেন কলকাতার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি।

৫ এপ্রিল লকডাউনে সবার মনোবল বৃদ্ধি করতে নাগরিকদের ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে মোমবাতি জ্বালানোর আহ্বান জানান মোদি। তার সেই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেই এমন মন্তব্য করলেন স্বস্তিকা।

করোনার প্রভাবে যেখানে দেশের একশ্রেণির মানুষ মাথা গোজার ঠাঁই থেকে খাবার, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবে দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে মোমবাতি-প্রদীপ জ্বালানো কতটা যুক্তিযুক্ত সেই প্রশ্ন তুলেছেন টলিউড অভিনেত্রী।

এলএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।