রাজকীয় জীবন ছেড়ে গৃহবধূ, এবার ফিরলেন সিনেমায়
ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যদের অনেক নিয়ম রীতি মেনে চলতে হয়। আড়ালে থাকতে হয় দশজন থেকে। কেউ এটাকে উপভোগ করেন, কেউ আবার হাঁপিয়ে উঠেন রুটিন মাফিক এই জীবনে।
হাঁপিয়ে উঠাদের দলে ব্রিটিশ রাজবধূ মেগান মর্কেল। সাধারণ জীবনের আশায় রাজপরিবারের জৌলুসময় জীবন ত্যাগ করেছেন তিনি। তাই বাকিংহাম প্যালেস থেকে প্রিন্স হ্যারির হাত ধরে বেরিয়ে এসেছিলেন মেগান।
কানাডায় শুরু হয় তাদের নতুন সংসার। সাধারণের সঙ্গে মেশার তাগিদেই ছেড়েছেন রাজকীয় উপাধি। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে নিজের পুরনো কাজে যোগ দিলেন। ফিরলেন স্টুডিওপাড়ায়।
সম্প্রতি খবরে এসেছে, ওয়াল্ট ডিজনির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মেগান মর্কেল। ডিজনির একটি ছবিতে তার গলা শোনা যাবে। ছবির নাম ‘এলিফ্যান্ট’।
একটি হাতির পরিবারের উপর তৈরি হয়েছে ছবি। কার্যত এটি একটি ডক্যুমেন্টারি বা তথ্যচিত্র। আফ্রিকার কালাহারি মরুভূমিতে কীভাবে হাতিরা জীবনধারণ করে, সেই গল্পই উঠে আসবে ‘এলিফ্যান্ট’-এ। মেগান এর ন্যারেশন দেবেন।
৩১ মার্চ রাজকীয় উপাধি ত্যাগ করবেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মর্কেল। তার কয়েকদিন পর ৩ এপ্রিল মুক্তি পাবে তথ্যচিত্রটি। ডিজনি প্লাসে দেখা যাবে এই তথ্যচিত্র।
এদিকে জানা গেছে, কানাডার সবচেয়ে অভিজাত এলাকা এবং ব্রিটিশদের অত্যন্ত পছন্দের জায়গা ভিক্টোরিয়াতে বাড়ি নিয়েছেন হ্যারি ও মেগান দম্পতি। এখান থেকে লন্ডন খুব বেশি দূরে নয়। তাই ভিক্টোরিয়ায় হ্যারিদের বাড়ি নেওয়া খুব স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন সেখানকার বাসিন্দারা। ব্রিটিশ উপনিবেশ থাকাকালীন কানাডার এই ব্রিটিশ কলম্বিয়া তৈরি হয়েছিল মূলত তাদের জন্যই। এখনও ব্রিটিশরা কানাডায় এলে এখানে থাকতেই পছন্দ করে।
এলএ/এমআরএম