বাকতলীর পরীতে শশী ও রওনক


প্রকাশিত: ০৭:১৫ এএম, ১২ অক্টোবর ২০১৫

জহির রায়হানের বিখ্যাত উপন্যাস ‘হাজার বছর ধরে’ অবলম্বনে নির্মিত ছবিতে টুনি চরিত্রে বাজিমাত করেছিলেন অভিনেত্রী শারমীন জোহা শশী। সেই সাফল্যের পর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। চলচ্চিত্রে আর নিয়মিত না হলেও একের পর এক তিনি উপহার দিয়ে চলেছেন দর্শকপ্রিয় নাটক-টেলিছবি।

সম্প্রতি ‘বাকতলীর পরী’ নামে একটি টেলিছবিতে কাজ করলেন শশী। এখানে তাকে দেখা যাবে জীবনের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি এক নারী চরিত্রে। যার নাম পরী হলেও রূপকথার গল্প ছাপিয়ে তার প্রতিদিনের মিলমিশ সুখ আর কষ্টের সাথে। সে থাকে বাকতলী রেল স্টেশনে। সেখানে চা বিক্রি করে। পরী গ্রামের মেয়ে। দুষ্টু লোকের হাত থেকে বাঁচার জন্য একসময় শহরে পাড়ি জমায়। কিন্তু এখানে এসে সে বুঝতে পারে গ্রাম ছিলো অনেক নিরাপদ। শহরে মানুষ থাকে অমানুষের আড়ালে।

গ্রাম থেকে মনিরা মিঠু তাকে নিয়ে এসে শহরে অন্ধকার জগতে বিক্রি করে দেয়। নিজেকে বাঁচাতে পরী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু তাকে উদ্ধার করেন স্টেশনমাস্টার। তিনিই তাকে আশ্রয় দেন। এভাবেই চায়ের দোকানে কাটে পরীর জীবন। সে জীবনে আসে নতুন ভালোবাসার মানুষ। তাকে নিয়ে তিনি ঘরবাঁধার স্বপ্ন দেখে সে।

এমনই গল্পে আলী সুজনের রচনা ও পরিচালনায় নির্মিত টেলিছবি ‘বাকতলীর পরী’।

পরী চরিত্রটি নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত শশী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জীবন যুদ্ধে লড়াই করে বেঁচে থাকা একটা মেয়ের নাম পরী। গল্পটি ভিন্ন ধরনের। পরী চরিত্রটি বেশ শক্তিশালী। এতে রয়েছে নানা ধরনের বাঁক। টেলিছবিটি সবার ভাল লাগবে বলেই আমার বিশ্বাস।’

‘বাকতলীর পরী’তে শশীর সাথে আরো কাজ করেছেন সুঅভিনেতা রওনক হাসান। এই টেলিছবি নিয়ে তিনি বলেন, ‘এ টেলিফিল্মের কাহিনী বাস্তবধর্মী। আমাদের সমাজে এমন অনেক পরীই নীরবে কেঁদে বেড়াচ্ছে। আমরা কেউ তা জানি না। তাদের ঘটনাবলী সবাইকে জানানো উচিৎ বলেই মনে করি। এতে অভিনয় করে ভালো লেগেছে। শশী খুব ভালো কাজ করেছেন। আশা করি, টেলিফিল্মটি দর্শক উপভোগ করবেন।’

এ প্রসঙ্গে নির্মাতা আলী সুজন বলেন, ‘বেঁচে থাকার তাগিদে জীবন যুদ্ধে লড়াই করে সবাই বাঁচতে চায়৷ তেমনি বাকতলী রেল স্টেশনের চা দোকানদার পরীর জীবন কাহিনী অবলম্বনে গড়ে উঠেছে টেলিছবিটি৷ যখনই দুঃখময় জীবনের অবসান ঘটিয়ে সুখের নীড় খুঁজে পায়, ঠিক তখনই অন্ধকার বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কোথায় যাবে পরী? জানার জন্য টেলিছবিটি দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’

বাকতলীর পরীতে আরও অভিনয় করেছেন ড. ইনামুল হক, এস এম কামৱুল বাহাৱ, মুনিৱা মিঠু, শিউলী শিলা, অবিদ রেহান ও শান্ত, সুমন আহমেদ বাবু,শরিফ সরকার, শিউলি শীলা, বিপ্লবসহ অনেকে।

টেলিছবিটি মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার হবে বৃহস্পতিবার সন্ধা ৭টা ৫০ মিনিটে।

এলএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।