করোনায় পেছালো সার্জারি, সতর্ক করলেন বেসবাবা সুমন

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫৫ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২০

বাংলাদেশের জনপ্রিয় রক ব্যান্ড ‘অর্থহীন’। দলটির প্রতিষ্ঠাতা এবং দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমন বেসবাবা সুমন নামেই খ্যাত। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত।

ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে বারবার ফিরে এসেছেন তিনি, ধরেছেন গিটা। তবে নতুন দুঃসংবাদ হলো, ক্যান্সার জয় করা সুমন নতুন করে স্পাইনাল কর্ডের সমস্যায় ভুগছেন।

সেকারণে গেলো ১৮ মার্চ জার্মানির একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের কথা ছিল সুমনের। এই অস্ত্রোপচারে পঙ্গু হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে তার এমন খবর ফেব্রুয়ারি মাসে ফেসবুকে জানিয়েছিলেন তিনি।

তবে বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় জরুরি সেই অস্ত্রোপচার করাতে জার্মানি যাননি সুমন। সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সুমন জানিয়েছেন, 'আমার এই মাসের ১৮ তারিখ জার্মানি যাবার কথা ছিল সার্জারির জন্য। জার্মানির অবস্থা ভাল না। ইন ফ্যাক্ট গোটা পৃথিবীর অবস্থাই খারাপ। আমার শরীরের অবস্থাও ভাল না, সার্জারিটা জরুরি। তারপরেও যাওয়ার চেষ্টা করিনি।'

এছাড়া সেই স্ট্যাটাসে সুমন ভক্তদের কাছে অনুরোধ করে আরও লিখেছেন, 'আপনারাও একটু চেষ্টা করেন, অতিরিক্ত দরকার ছাড়া বাসা থেকে বের হবেন না। ছুটি, আড্ডা, অনুষ্ঠান, কক্সবাজার, নীলগিড়ি এই অবস্থা শেষ হবার পরেও থাকবে। বরঞ্চ অসাবধান হলে ভবিষ্যতে আমরা নিজেরাই নাও থাকতে পারি। চলুন, আরেকটু দায়িত্ববান হই।'

প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে ‘ফ্রিকোয়েন্সি’ ব্যান্ড গঠনের মাধ্যমে সুমন তার রক সংগীতের জীবন শুরু করেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সের মধ্যে অনেকগুলো ব্যান্ডে বেস বাজানোর সৌভাগ্য হয় তার। ১৯৯৭ সালে তিনি সেই সময়ের জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘ওয়ারফেজ’ গিটারবাদক হিসেবে যোগ দেন।

দুই বছর ওয়ারফেজে বাজানোর পর, ১৯৯৯ সালে নিজের প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুমন ও অর্থহীন’ প্রকাশ করেন তিনি। অ্যালবামটি অনেক জনপ্রিয়তা পেলে, সে বছর অর্থহীন ব্যান্ডের যাত্রা শুরু করেন সুমন। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই বেইজ গিটারিস্ট নিজের প্রকৃত নামের চেয়ে সংগীত জগতে বেসবাবা সুমন নামে বহুল পরিচিত।

২০১৩ সাল থেকে একাধিকার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েও গান ছাড়েননি এই সুরের জাদুকর।

এলএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।