অপেক্ষা শুধু প্রধানমন্ত্রীর
প্রায় দুইশ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঠাকুরগাঁওয়ের বর্ডার গার্ড হাসপাতালটি এখন প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায়। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে উত্তরের ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামরীসহ আশপাশের কয়েকটি জেলার রোগীরা স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবেন এই হাসপাতাল থেকে।
ধনী-গরীর নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষকে সব চেয়ে কমমূল্যে সেবা দিতে চায় ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থিত বিজিবি হাসপাতাল। এছাড়া হাসপাতালটি উন্নত অবকাঠামো, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও দক্ষ জনশক্তির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করতে সদা প্রস্তুুত।
বর্ডার গার্ড হাসপাতাল সূত্র জানান, হাসপাতালে বর্তমানে মেডিসিন, নিউরো মেডিসিন, চর্ম ও যৌন, গ্যাস্ট্রো এন্ট্রোলজি, ডায়াবেটিকস, বক্ষব্যাধি, শিশু রোগ, গাইনি অ্যান্ড অবস, চক্ষু, নাক, কান ও গলা, ডেন্টাল, জেনারেল সার্জারি, ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি, অর্থোপেডিক্স ও নেফ্রোলজি বিভাগসমূহে চিকিৎসকরা নিয়মিত চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন।
তাছাড়া আধুনিক ও উন্নত প্যাথলজিক্যাল ল্যাব, ডিজিটাল এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজিসহ সব ডায়াগনস্টিক সেবা চালু হবে শিগগিরই। তবে এই হাসপাতাল থেকে শতকরা ৪০ ভাগ বাইরের মানুষ সেবা নিতে পারবেন।
স্বল্প সময়ের মধ্যে জরুরি বিভাগ, অপারেশন থিয়েটার, আইসিইউ, এনআইসিইউ, ডায়ালাইসিস, ফিজিওথেরাপিসহ অন্য সব বিভাগ চালু হবে বলেও হাসপাতাল কৃর্তৃপক্ষ জানায়।
সমাজসেবক সিরাজুল ইসলাম জানান, উত্তরের অবহেলিত জেলা ঠাকুরগাঁও। এই জেলায় একমাত্র ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের উপরই সকলে নির্ভরশীল। এই হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, ডাক্তারসহ নানা রকম সমস্যায় সঠিক চিকিৎসা পায়না রোগীরা। একটু কিছু হলেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে ডাক্তাররা। কিন্তু আমাদের শহরে বর্ডার গার্ড হাসপাতাল পুর্ণাঙ্গ চালু হলে আর রংপুর কিংবা ঢাকা যেতে হবে না রোগীদের। এতে করে অর্থ এবং সময় সব দুটোই বাঁচবে।
ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, সরকার স্বাস্থ্যসেবা জনগণের হাতের নাগালে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। সে লক্ষ্যেই আমাদের ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবি হাসপাতাল নির্মান করা হয়েছে। এখানে বাইরের ৪০ ভাগ মানুষ চিকিৎসা সেবা পাবে। অতি শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী অথবা স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই হাসপাতালের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও ৩০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের পরিচালক তুষার বিন ইউনুস জাগো নিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে হাসপাতালের কার্যক্রম চালু হয়েছে। এই হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ চালু হলে সামরিক ও বে-সামরিক মানুষ সেবা পাবে। কিছু দিনেই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতালটি চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এমএএস/এমএস