দেশে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন জরুরি


প্রকাশিত: ০৮:১৫ এএম, ০৯ অক্টোবর ২০১৫

রোগ প্রতিরোধে দেশে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন তৈরি করা জরুরি বলে মনে করে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সমন্বিত উদ্দ্যোগ প্রয়োজন।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয় তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ, অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আলোচকবৃন্দের আলোচনায় এসব বিষয় উঠে আসে।

জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতির (নাটাব) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেছেন, দেশে এখন ধান চাষের পরিবর্তে তামাক চাষ করা হয় যার ফলে আবাদী জমিগুলো নষ্ট হচ্ছে। আবাদী জমিগুলো নষ্ট হওয়ায় ভবিষ্যতে বিপুল জনগোষ্টির জন্য খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট দীর্ঘদিন ধরে উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান বন্ধের জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলো। সরকার এ দাবির প্রেক্ষিতে উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান করলে ৫০ টাকা জরিমানা থেকে ৩০০ টাকা করা হয়েছিল। কিন্তু তা কার্যকর হচ্ছে না।

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন,  প্রতি বছর স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বেড়েই চলছে। সরকার শুধু চিকিৎসার পরিবর্তে প্রতিরোধের চিন্তা করলে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় কমে আসত।

আলোচকরা মনে করেন, দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া নগরায়ণ ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর জীবন যাত্রা, খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস, শরীর চর্চা, ব্যায়াম বা কায়িক পরিশ্রমের অভাব, তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার, মাদক সেবন অসংক্রামক রোগ সৃষ্টির কারণ।

বক্তারা বলেন,  তামাক ব্যবহারে অসুস্থ হলে রোগীরা প্রাথমিক পর্যায়ে ডাক্তারের কাছে আসতে চায় না। অনেকে রোগের ফাইনাল স্টেজে আসে। তাই যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া যায় মাত্র কয়েক হাজার রোগীকে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা দিলে ৬০ শতাংশ রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব।

আলোচনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, দ্য ইউনিয়নের কারিগরী পরামর্শক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, জাতীয় স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ডা. রশিদ-ই-মাহবুব, সদস্য রফিকুল ইসলাম মিলন, আ.ফ.ম সারওয়ার প্রমুখ।  

এএস/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।