ফেব্রুয়ারিতে দেশে ফেরা হচ্ছে না এন্ড্রু কিশোরের
ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে চিকিৎসা শেষ করে কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের দেশে ফেরার কথা শোনা যাচ্ছিল। দীর্ঘদিন থেকে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন তিনি। না, ফেব্রুয়ারিতে দেশে ফেরা হবে না তার। চিকিৎসকরা এমনটাই জানিয়েছেন।
চিকিৎসার শুরুতে জানানো হয়েছিল, এন্ড্রু কিশোরকে ৬টি সাইকেলে ২৪টি কেমোথেরাপি দিতে হবে। ইতোমধ্যে ৪টি সাইকেলে তার ১৬টি কেমো সম্পন্ন হয়েছে। পঞ্চম সাইকেলের প্রথম কেমোথেরাপিও দেওয়া হয়েছে। এখনো ৭টি কেমো দেওয়া বাকি। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন এন্ড্রু কিশোরের শিষ্য কণ্ঠশিল্পী মোমিন বিশ্বাস। শারীরিক নানা সমস্যার কারণে এন্ড্রু কিশোরের কেমোথেরাপি বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানালেন তিনি।
মোমিন বিশ্বাস বলেন, ‘চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছিলেন ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে সবগুলো কেমোথেরাপি দেওয়া শেষ হয়ে যাবে। এরপরই তিনি দেশে ফিরতে পারবেন। কিন্তু গত একমাস দাদার শরীরের নানা জটিলতার কারণে কেমো বন্ধ রাখা হয়েছে। শরীরের এই সমস্যাগুলো দূর না হলে কেমোথেরাপি দেওয়া সম্ভব নয়।
এখন নিয়মিত চিকিৎসা চলছে। গত একমাস হাসপাতাল থেকে ওখানকার বাসাতেও ফেরা হয়নি দাদার। সবকিছু ঠিক হলে বাকি কেমো থেরাপিগুলো দেওয়া হবে। আমরাও আশা করেছিলাম ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে দাদাকে দেশে নিয়ে আসতে পারবো। আর সেটা সম্ভব হচ্ছে না। সবাই দাদার জন্য দোয়া করবে। শিগগিরই যেত তিনি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরতে পারেন, আবার গান গাইতে পারেন।’
প্রসঙ্গত, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর বর্তমানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অসুস্থ অবস্থায় গত ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছিলেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর তার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে।
এরপর থেকে নিয়মিত কেমোথেরাপি দেওয়া হচ্ছে তাকে। একটু একটু করে সেরে উঠছিলেন তিনি। হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সাধ্যমতো।
এমএবি/পিআর