এন্ড্রু কিশোরের চিকিৎসায় প্রয়োজন ২ কোটি টাকা
দেশবরেণ্য আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর বর্তমানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অসুস্থ অবস্থায় গত ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছিলেন তিনি।
কয়েক মাস আগে থেকেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং দেশেই চিকিৎসা গ্রহণ করছিলেন তিনি। পরে ডাক্তারদের পরামর্শে দ্রুত সিঙ্গাপুরে নিয়ে তার চিকিৎসা শুরু হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর তার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। দুই মাস পেরিয়ে গেছে।
এখনও চিকিৎসা চলছে তার। তার ভক্তরা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন কবে দেশে ফিরবেন এন্ড্রু কিশোর, কবে আবারও গান গাইবেন তিনি! কিন্তু কিংবদন্তি এ গায়কের চিকিৎসার সময় বেড়ে গেছে। বেড়েছে খরচও।
এন্ড্রু কিশোরের শিষ্য কণ্ঠশিল্পী মোমিন বিশ্বাস জানান, এ পর্যন্ত তার ৩টি সাইকেলে ১২টি কেমোথেরাপি সম্পন্ন হয়েছে এবং আগামী ২৬ নভেম্বর থেকে কেমোথেরাপির পরবর্তী সাইকেল শুরু হবে এবং আরও ৩টি সাইকেলে আরও ১২টি কেমোথেরাপি দেওয়া হবে। সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ চিকিৎসা আরও প্রায় আড়াই থেকে তিনমাস চলবে।
সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ রোববার দুপুরে জাগো নিউজকে বলেন, ‘আজ সকালে এন্ড্রু কিশোর দা’র সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ভেঙে পড়েছেন তিনি। অনেক আবেগী হয়ে গেছেন। জানলাম তার চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর হাসপাতাল থেকে বাজেট দেয়া হয়েছে প্রায় দুই কোটি টাকা। খ্যাতিমান এই শিল্পীর এই কঠিন সময়ে তার পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন। এরই মধ্যে প্রবাসীরা তাকে সহযোগিতার জন্য ফান্ড করেছে। আশা করবো দেশের মানুষও তার পাশে দাঁড়াবেন। তাকে আমরা হারাতে চাই না।’
জানা গেছে, এন্ড্রু কিশোরকে যে কেমোথেরাপি দেওয়া হচ্ছে তার প্রতিটির মূল্য প্রায় ৯ লাখটাকা। এরই মধ্যে গুণী এই শিল্পীর চিকিৎসায় তার পরিবার কোটি টাকারও বেশি খরচ করে ফেলেছেন। প্রয়োজন আরও অনেক টাকা। গান গেয়ে কোটি কোটি মানুষের হৃদয় জুড়িয়েছেন যিনি, আজ তার পাশে কে দাঁড়াবে! কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে এই লিংকে প্রবেশ করতে পারেন।
এন্ড্রু কিশোরকে বাংলা চলচ্চিত্রের গানের এক মহাসমুদ্র বলা যেতে পারে। কয়েক দশক ধরে সেই সমুদ্রে সাঁতার কেটে চলেছেন শ্রোতারা। তার কণ্ঠ মধু ছড়ায়, তার শত শত গান মানুষের মুখে মুখে ফেরে।
সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, প্রেম-বিরহ সব অনুভূতির গানই তিনি গেয়েছেন। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প, হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস, ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, আমার বুকের মধ্যে খানে, পৃথিবীর যত সুখ আমি তোমার ছুঁয়াতে খুঁজে পেয়েছি, সবাইতো ভালোবাসা চায়, বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে, তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন, ভালো আছি ভালো থেকো, তুমি মোর জীবনের ভাবনা, চোখ যে মনের কথা বলে, পড়েনা চোখের পলক ইত্যাদি।
এমএবি/এলএ/পিআর