বারী সিদ্দিকীকে হারানোর দ্বিতীয় বছর আজ

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৪১ এএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৯

প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও বংশীবাদক বারী সিদ্দিকীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ রোববার (২৪ নভেম্বর)। দুই বছর আগে এই দিনে দিবাগত রাত ২টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তিনি মারা যান। ৬৩ বছরের জীবন পেয়েছিলেন এই গুণী শিল্পী। অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়ে গেছেন। আজও মুখে মুখে ফেরে সেইসব গান।

প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পী ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার এক সংগীতজ্ঞ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে পরিবারের কাছেই গান শেখায় হাতেখড়ি। মাত্র ১২ বছর বয়সেই নেত্রকোনার শিল্পী ওস্তাদ গোপাল দত্তের অধীনে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু হয় তার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামে ইতিহাসে স্নাতক পাশ করে তিনি জড়িয়ে পড়েছিলেন সংগীতের সাথে। তখন প্রথম তিনি নিজেকে বাঁশিবাদক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি ওস্তাদ আমিনুর রহমান, দবির খান, পান্নালাল ঘোষসহ অসংখ্য গুণী শিল্পীর সরাসরি সান্নিধ্য লাভ করেন। ক্লাসিক্যাল মিউজিকের ওপরও পড়াশোনা করেন বারী সিদ্দিকী।

দীর্ঘদিন সংগীতের সঙ্গে জড়িত থাকলেও সবার কাছে বারী সিদ্দিকী শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পান ১৯৯৯ সালে। ওই বছর হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবিটি মুক্তি পায়। এই ছবিতে তিনি ছয়টি গান গেয়ে ব্যপক সুনাম অর্জন করেন।

তার গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘শুয়াচান পাখি আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি’, ‘পুবালি বাতাসে’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘ওলো ভাবিজান নাউ বাওয়া’, ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজো’। চলচ্চিত্রেও প্লেব্যাক করেছেন তিনি।

নেত্রকোণা জেলা শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে কারলি গ্রামে তিনি বাউল বাড়ি নামের একটি আশ্রম গড়ে তুলেছিলেন বারী সিদ্দিকী। সেখানেই তার গ্রামের বাড়িতে চিরনিদ্রায় আছেন তিনি।

এমএবি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।