স্ত্রীর ভালোবাসার কথা বলতে গিয়ে কাঁদলেন ডা. এজাজ

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৪ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৯

গরিবের ডাক্তার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ডা. এজাজ। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারি দায়িত্ব পালন করে গাজীপুরে নিজের চেম্বারে সেখানকার মানুষের চিকিৎসা দেন এজাজ। অসহায় গরিব মানুষদের চিকিৎসা করতে খুবই অল্প পরিমাণ টাকা ভিজিট নেন তিনি।

অন্যদিকে অভিনয়ে তিনি এতোটাই জনপ্রিয় যে, কোনো নাটক সিনেমায় তার উপস্থিতি মানেই বাড়তি বিনোদন। চিকিৎসক পেশা ঠিক রেখেই নিয়মিত অভিনয় করেন এই অভিনেতা। নিজের অভিনয় দিয়ে মানুষের মন জয় করেছেন অনেক আগেই। চিকিৎসক হিসেবেও মানুষের হৃদয়ে রয়ে গেছেন প্রিয় মানুষ হিসেবে।

চিকিৎসা পেশা ও অভিনয় দুটো একই সঙ্গে সামলে চলছেন ডা. এজাজুল ইসলাম। অভিনয়ের জন্য অনেক সময় দিনের পর দিন বাড়ির বাইরে কাটাতে হয়েছে। এসবে কেমন সাপোর্ট পান এজাজ। জাগো নিউজের লাইভ অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় তার স্ত্রীর প্রসঙ্গে।

জবাব দিতে গিয়ে স্ত্রী লুৎফুন নাহারকে নিয়ে এজাজ বলেন, ‘অসাধারণ ভালো মানুষ। তার সম্পর্কে একটু বলি। আমি তখন কাকরাইলে ভাড়া থাকি। লম্বা মোবাইল ফোনের সময় তখন। আমি বাজারে যাচ্ছি। স্যার (হুমায়ূন আহমেদ) ফোন দিলেন নুহাস পল্লীতে যেতে হবে। আমি চলে গেলাম বাজার না করেই। ৯ দিন পরে বাসায় ফিরলাম। বাসায় ঢোকার পর বৌ বললো, হুমায়ূন স্যার ডেকেছিল?

এরপর শ্রাবণ মেঘের দিনে সিনেমার সময় দেড় মাস শুটিংয়ে ছিলাম। দেড় মাস পরে ঢাকায় এসে মনে হচ্ছে নতুন একটা শহরে এসেছি। দেড় মাস পরে বৌ নুহাস পল্লীতে একটা চিরকুট পাঠালো। চিরকুটে লেখা ‘টাকা শেষ।’ আমিও লিখলাম, ‘শুটিং শেষ, আসছি। দেড় মাস পর বাসায় আসলাম কোনো অভিযোগ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আরও একটা ঘটনা আছে। এটা বলতে গেলে কান্না আসে। তখন আমি মোহাম্মদপুরে থাকতাম। আমার ছোট ছেলে খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিল এই শুটিংয়ের মাঝখানে। রাত ২টার সময় হঠাৎ ডায়রিয়া ছেলের। সেই রাতে ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে ও। সে ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকে আমি জানতেও পারিনি। তখন বাসায় কোনো ফোন ছিল না।

আমার কাছে থাকতো হুমায়ূন স্যারের দেওয়া একটা ফোন। তিন মাস পর যখন বাসায় ফিরলাম। বৌ বললো বাক্কারকে নিয়ে তিনদিন হাসপাতালে ছিলাম। স্যারকে পেয়েছিলাম ও ওর মতো একজন বৌ পেয়েছিলাম বলে এভাবে অভিনয় করে যেতে পেরেছি। ও কোনো দিন আমার কাছে জানতে চায়নি কোথায় যাচ্ছ? কতো দিন থাকবে?'

আজ ১৩ নভেম্বর হুমায়ূন আহমেদের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে জাগো নিউজের কার্যালয়ে এসেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা ডা. এজাজুল ইসলাম। হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন তিনি। পাশাপাশি নিজের পরিবারের কথাও বলেছেন। গল্পে গল্পে জানা যায়, তার পরিবার ও অভিনয় যেন একই সুতোয় গাঁথা।

এমএবি/এলএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।