প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চান চলচ্চিত্র নির্মাতা জীবন রহমান

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:১৯ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৯

বিনা চিকিৎসায় ধুকঁছেন খ্যাতিমান চলচ্চিত্র পরিচালক জীবন রহমান। বর্তমানে ডায়বেটিকস, কিডনি, লিভার ও ব্রেন স্টোকে আক্রান্ত হয়ে একমাত্র জামাতার বাড়ি কাটিয়াদি পৌর এলাকার কামারকোনা মহল্লায় থাকছেন।

তার শারীরিক অবস্থা এতটাই নাজুক যে, তিনি এখন স্পষ্ট করে কথা বলতে পারছেন না। বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন এই খ্যাতিমান নির্মাতা। যত দ্রুত সম্ভব তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন।

এদিকে অর্থ সংকটের কারণে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে আছে জীবন রহমানের। অবেশেষ বেঁচে থাকার আকুতি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন এই নির্মাতা। এরমধ্যে জীবনের পাশে দাঁড়িয়েছেন মানবতার কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নাট্যনির্মাতা জি.এম সৈকত।

সৈকত বলেন, ‘জীবন ভাইয়ের আবেদনের কাগজ পত্র সংগ্রহ করেছি। শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দিব।আশা করি শিল্পীবান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য অসহায় শিল্পীর ন্যায় পাশে দাঁড়াবেন তার। কারণ উনি মানবতার মা।’

জীবন রহমান ৯০ দশকের গোড়ার দিকে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন। তার প্রথম ছবির নাম ‘গহর বাদশা বানেছা পরী’। প্রথম ছবিই সুপারহিট হয়। এরপর একে একে হুলিয়া, আজকের সন্ত্রাসী, প্রেম যুদ্ধ, আশার প্রদীপ, আলী কেন গোলাম, মহা সংগ্রাম এবং অ্যাকশন ছবি উত্তর দক্ষিণের নির্মাণ করেন।

তার নির্মিত ১৫টি ছবিই ব্যবসা সফল হয়েছে। সুস্থধারার চলচ্চিত্র মহা সংগ্রাম নির্মাণ করে ২০০৫ সালে তারুণ্য যুব কল্যাণ সংঘ জীবন রহমানকে শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে ভাসানী স্মৃতি পুরষ্কার প্রদান করে।

১৯৬৪ সালে পাকুন্দিয়া উপজেলার মঠখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জীবন রহমান। পাকুন্দিয়া হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করে ঢাকা কর্মাস কলেজ থেকে এইচএসসি এবং বিকম পাশ করেন। সে সময় চলচ্চিত্র পরিচালক খসরু নোমানের সাথে পরিচয় হয়। সেই সুবাদে ধীরে ধীরে তিনি প্রবেশ করেন চলচ্চিত্র জগতে।

১৯৮২ সালে খসরু নোমানের সহকারী হিসেবে নাম লেখান চলচ্চিত্র জগতে। দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, কাজী হায়াৎ সহ বেশ কয়েকজন পরিচালকের সাথে চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ করেন এবং পাশাপাশি অভিনয় করেন।

এমএবি/এলএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।