গুরুতর অসুস্থ আলাউদ্দিন আলী, দেওয়া যাচ্ছে না কেমোথেরাপি

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:০৮ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০১৯

বরেণ্য সংগীত পরিচালক আলাউদ্দীন আলী গত ৬ অক্টোবর থেকে ব্যাংককের স্যামিটিভেজ সুকুমভিত হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ক্যান্সারে ভুগছেন এই সঙ্গীতজ্ঞ। উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে। তার সঙ্গে আছেন স্ত্রী ফারজানা মিমি আর ছোট মেয়ে আদ্রিতা আলাউদ্দিন রাজকন্যা।

জানা গেলো, শারীরিক দুর্বলতার তাকে কেমোথেরাপি দেওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন সুরকার ও সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ। কিছুটা সুস্থ হলে আলাউদ্দিন আলীকে কেমোথেরাপি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ফরিদ আহমেদ বলেন, 'আমার সাথে ফেসবুক ইনবক্সে যোগাযোগ হয়েছিলো মিসেস ফারজানা আলী মিমির। আমাকে জানান উনার (আলাউদ্দিন আলী) চিকিৎসক ডা. ফুচাই পিতাক্কিতনুকুন জানিয়েছেন ফুসফুসের ক্যান্সার আগের মতই আছে। তবে দুর্বলতার জন্য এখন আর কেমোথেরাপি দেয়া যাচ্ছে না। এখন চিকিৎসা চলছে উনার দুর্বলতা কাটানোর জন্য । চিকিৎসক আশা করছেন মাস তিনেকের মধ্যে উনি দুর্বলতা কাটিয়ে উঠবেন।'

আলাউদ্দিন আলীর মেয়ে আদৃতা মিমি বলেন, 'আমার বাবা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন । আল্লাহ যেন আমার বাবাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলেন সেই জন্য আমি আদৃতা আলাউদ্দীন রাজকন্যা সবার কাছে দোয়া চাই।'

২০১৫ সালে প্রথম ক্যান্সার ধরা পড়েছিল আলাউদ্দিন আলীর। সেই সময় টানা ছয় মাস চিকিৎসা করে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। কয়েক মাস আগে পরীক্ষা করে রিপোর্টে দেখা যায় আবার ক্যান্সারের সম্ভাবনা। চিকিৎসকরা তাকে ব্যাংককে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শে আলাউদ্দিন আলীকে নেওয়া হয়েছে ব্যাংকক।

উল্লেখ্য, চলতি বছর ২২ জানুয়ারি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়াল হসপিটালে আইসিইউতে ভর্তি হন সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী। এরপর তার অবস্থার অবনতি হলে, টানা ২৬ দিন লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আলাউদ্দিন আলীকে বিশেষ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

সাভারের সিআরপি হাসপাতালে ছিলেন প্রায় পাঁচ মাস। এরপর বাসাতেও ফিরেছিলেন তিনি। গত অক্টোবরে আবারও ক্যান্সার ধরা পড়লে ব্যাংকক নেওয়া হয় তাকে।

এমএবি/এলএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।