ইউটিউব মাতাচ্ছে ‘কালো জামাই’
হঠাৎ করে এই অভিনেতাকে দেখলে চিনতেই পারবেন না দর্শক। তার গায়ের রঙ বদলে কুঁচকুচে কালো হয়ে গেছে। কেউ কেউ কালুকে কাউয়া বলেও ডাকে। হঠাৎ জনপ্রিয় অভিনেতা আ.খ.ম হাসানের এই কী হাল? গ্রামের মানুষের তাকে ডাকে কালু বলে।
কালুর বিয়েও হয়। আর বাসর ঘরে কুচকুচে কালো কালুকে দেখে তার স্ত্রী অরিন অজ্ঞান হয়ে যায়। অন্যদিকে কালুর ভাইরা ভাই নিথর মাহবুব সুন্দর হওয়ার কারণে নিজের প্রশংসায় নিজেই সে সব সময় পঞ্চমুখ থাকে। এমনই গল্প নিয়ে স্বপ্নের কারিগরের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে একক নাটক ‘কালো জামাই’।
নাটকটি রচনা করেছেন রাজীব মণি দাস ও পরিচালনায় আর আইচ সোহেল। নির্বাহী প্রযোজক বেগম রোকেয়া। নাটকটিতে আবুল কালাম চরিত্রে অভিনয় করছেন আখম হাসান। তার স্ত্রী মিথিলা চরিত্রে অভিনয় করেছেন অরিন। রিজু চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিথর মাহবুব।
স্বপ্নের কারিগর নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৬অক্টোবর প্রকাশ হয়েছে ‘কালো জামাই’ নাটকটি। এরপর থেকেই ইউটিউব মাতাচ্ছে ‘কালো জামাই’। কমেন্টবক্সেও নাটকটির প্রশংসা করছেন অনেকেই। ১০দিনে নাটকটি দেখা হয়েছে ২০ লক্ষেরও বেশিবার। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে দুই লাখেরও বেশি দর্শক দর্শক পাচ্ছে নাটকটি।
জনপ্রিয় অভিনেতা আ খ ম হাসান কমেডি অভিনয় বেশি করলেও এই নাটকে তাকে দেখা গেলো অন্যরকম এক চরিত্রে। মূকাভিনেতা নিথর মাহবুবও এ নাটকে হাজির হয়েছেন একটু ভিন্নরূপে। আ খ ম হাসান কালো জামাই আর নিথর মাহবুব সাদা জামাই তাদের দুটি চরিত্রই পছন্দ করেছেন দর্শক।
তাদের সাফল্যকে ভিত্তি করে হাসান-নিথর জুটি নিয়ে আগামী মাসেই নতুন আরেকটি নাটকে নির্মাণ হতে যাচ্ছে।
নাটকের রচয়িতা রাজীব মণি দাস বলেন, ‘আমাদের নাটকের অভিনেতা হাসান ভাইয়ের অভিনয় আর জনপ্রিয়তার কথা নতুন করে আর কিছু বলার নেই। তবে বলার আছে নিথর মাহবুবকে নিয়ে। নাটকে অভিনয়ের চেয়ে তিনি মাইম নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন। তবে তিনি নিয়মিত কাজ করলে পর্দায়ও সফল হবেন । আমার কল্পনার মতো করেই তিনি সাদা জামাইয়ের চরিত্রটি ফুটিয়ে তুছেন।’
নাটকের পরিচালক সোহেল বলেন, ‘স্ক্রিপ্ট হাতে আসার পরে গল্পটা পড়েই বুঝেছিলাম ভালো কিছু হবে। কিন্তু এমন আলোচনা হবে এবং এটাই আমার নির্মিত সবচেয়ে আলোচিত নাটক হবে ভাবতে পারিনি। নাটকে সবাই ভালো অভিনয় করেছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।’
সোহেল আরও বলেন, ‘অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে আমাদের নাটক নির্মাণ করতে হয়। এরপর কোনো কাজ যখন দর্শক পছন্দ করেন তখন সত্যিই অনেক ভালো লাগে। নাটকটি অনেক আগেই করার কথা ছিল, দু’বার শুটিংয়ের তারিখ পিছিয়েছি বৃষ্টি ও অন্য কারণে।
সর্বশেষ যেদিন শুটিং করলাম তার আগেরদিনও ঝামেলা হয়। শুটিংয়ের আগের দিন রাতে নিথর ভাইকে সঙ্গে নিয়ে যখন স্পটের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলাম তখনই জানলাম নিথর ভাইয়ের স্ত্রীর ভূমিকায় যে নায়িকার অভিনয় করার কথা তিনি শুটিং করতে পারবে না। কারণ তিনি ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। যাত্রাপথেই নায়িকা খুঁজতে শুরু করলাম। কিন্তু হুট করে কেউ সময় দিতে পারছিল না। এতো ঝামেলার মধ্যেই আমরা শেষ করেছি নাটকটি।’
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে আরো অভিনয় করেছেন অরিন, সীমানা শীলা, বিপ্লব প্রসাদ, আফরোজা হোসেন, জাদু ফরিদ, ফরহাদ সরকার, আফতাব উদ্দিন, নবাব তুহিন প্রমুখ।
এমএবি/এলএ/পিআর