বাবার কেটলির চা বিক্রি করে সুপারহিট অ্যালেন শুভ্র

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১০ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০১৯

ফজর আলী গ্রামের সবচেয়ে সহজ সরল ছেলে। সবকিছুতে বোকামি। কোনো কিছুই ঠিকঠাকভাবে করতে পারে না। গ্রামের সবাই তাকে নিয়ে মজা করে। গত তিন বছর আগে তার বাবা মারা গিয়েছিল। তার বাবার একটা চায়ের দোকান ছিল। দোকানটার নাম ফজর আলী চায়ের দোকান।

ফজর আলীর বাবার একটা কঠিন অসুখে ভুগে মারা যান। জমিজমা বিক্রি করে বাবার চিকিৎসা করা হয়। তাই মৃত্যুর সময় দোকান ছাড়া ফজর আলীর জন্য তেমন কিছুই রেখে যেতে পারেননি।

দোকানটা তেমন ভালো চলত না। এই নিয়ে তার প্রেমিকা মিলি তাকে সবসময় বকাঝকা করত। হঠাৎ একটা ঘটনায় সব বদলে গেল ফজর আলীর। শহর থেকে বেড়াতে আসা দুটো ছেলে চায়ের দোকানের একটা ভিডিও তুলে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। এটা তারা মজা করে ছেড়েছিল। তারা ভিডিওতে বলেছিল ফজর আলীর চায়ের দোকানের মত চা তারা জীবনেও খায়নি।

ভিডিওটা ভাইরাল হয়ে যায়। দলে বলে লোকে ফজর আলীর চায়ের দোকানে চা খেতে আসে। ফজর আলীর দোকানে সেই আগের চা-ই ছিল। কিন্তু গুজবের কারণে সবাই সেই চা হিট হয়ে গেল। ফজর আলী তারকা বনে গেল।

একবার টেলিভিশন থেকে সাংবাদিকরা তার দোকানে তার ইন্টারভিউ নিতে এলো। তাকে তার চায়ের স্বাদের গোপন রহস্য জিজ্ঞেস করল। ফজর আলী বলল অন্য দোকানদাররা যেভাবে বানায় সেই রকম। কিন্তু সাংবাদিকরা তা বিশ্বাস করতে চাইল না। তার পিছু ছাড়লো না।

অবশেষে ফজর আলী তাদেরকে তার জীবনের একটা ঘটনা বললেন। তার বাবা তার মৃত্যুর সময় তাকে অনেক দোয়া করে গিয়েছিল। তার বাবা তাকে চায়ের কেটলিটা দিয়ে গিয়েছিল। আর বলেছিল মন দিয়ে দোকানদারি করতে। একদিন আল্লাহ তাকে সব দিবে। এবার ঘটনাটা বিশ্বাস করলো সবাই। চারদিকে ছড়িয়ে পড়লো বাবার বিশেষ দোয়ার কেটলির চায়ে সুনাম।

এমনই এক গল্পে সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে নাটক ‘বাবার কেটলি’। সাইফুর রহমান কাজলের রচনায় এ নাটকটি পরিচালনা করেছেন সাখাওয়াত মানিক। এখানে ফজর আলী চরিত্রে অভিনয় করেছেন অ্যালেন শুভ্র। তার বিপরীতে এখানে দেখা যাবে লাক্স সুন্দরী মানতাশা মিমকে। আরও অভিনয় করেছেন মুনীরা মিঠু, কচি খন্দকার প্রমুখ।

নির্মাতা মানিক নিশ্চিত করেছেন আগামী ১১ অক্টোবর বিকেল ৩টায় প্রচার হবে এই নাটক চ্যানেল আইতে।

এলএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।