গাবতলীতে বাড়ছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়


প্রকাশিত: ০৮:৩৩ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

আর মাত্র তিন দিন পরেই ঈদ। আর তাই নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা। রাজধানীর গাবতলীতে আপনজনদের সঙ্গে ঈদ করতে যাওয়া এসব মানুষদের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। ঘরে ফেরা মানুষের জনস্রোতে পরিণত হয়েছে গাবতলী বাস টার্মিনাল। সোমবার ভোর থেকে লোকজনের আনাগোনা বাড়তে থাকে গাবতলী বাস টার্মিনালে। কাউন্টার গুলোও মানুষে টইটুম্বুর।

সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, কাউন্টারগুলোর সামনে মানুষের প্রচন্ড চাপ। অগ্রিম টিকিট বিক্রির সময়ই বোঝা গেছে এবারের ঈদে শুরু থেকেই কাউন্টারগুলোতে থাকবে মানুষের প্রচণ্ড চাপ।

গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে মূলত উত্তরাঞ্চল রুটে চলাচলকারী মানুষের সংখ্যাই বেশি। সকাল থেকেই তাই হাজার হাজার মানুষকে ছুটে আসতে দেখা যায় বাস কাউন্টারগুলোতে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদ আনন্দে ভাসছে যেন পুরো গাবতলী বাস টার্মিনাল। স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ঈদে ঘর মুখো চঞ্চলতা।  ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন মানুষ। ছোট ছোট বাচ্চা, কিশোর কিশোরীরা দাদা কিংবা নানু বাড়িতে ঈদ করতে বাবা মা, কিংবা চাচা, ফুফু, খালার হাত ধরে এসেছে টার্মিনালে।

হাতে ব্যাগ, চোখে কাউন্টার খোঁজার চাহুনি। দুই হাত ভর্তি ব্যাগও দেখা যায় অনেকের। অনেকে আবার স্বজনদের জন্য শপিং করে শ্রমিক ডেকে ব্যাগের ঘানি টানছেন।

সকাল ৫টা থেকে বিভিন্ন রুটে ঈদ সার্ভিসের প্রথম দিবসের আজ বাস চলাচল শুরু করছে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঘরমুখো মানুষের মুখের হাসি দেখলে বোঝার উপায় নেই টিকিট যুদ্ধের কষ্ট। মনে হবে অগ্রিম টিকিট প্রাপ্তির কষ্টটা যেন ফিকে হয়ে গেছে। যাত্রা শুরুর আগ মুহুর্তে তাই সবার মুখে যেন আনন্দের হাসি।

বগুড়ার মিলন সোমবার সকালেই চলে এসেছেন গাবতলী বাস টার্মিনালে। মিলন এই প্রতিবেদককে জানান,তিনি হিন্দুধর্মাবলম্বী হলেও ঈদের আনন্দটা সবার। সেজন্যই গ্রামে ফিরছেন তিনি।

তিনি বলেন, ঈদে সব বন্ধুর দেখা মেলে। সবাই গ্রামে আসে। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা বন্ধুদের বাড়ি বাড়ি হইহুল্লুর করে বেড়ানোর লোভটা কে বা সামলাতে পারেন বলেন!

ড্যাফোডিল ইউনির্ভাসিটির ছাত্র তুষার বলেন, অনেক দিন পর রংপুরে গ্রামের বাসায় ফিরছি। কি যে ভাল লাগছে। সকাল থেকে মা তিন দফায় ফোন করেছেন। কখন উঠেছি বাসে তা জানার জন্য।

ছোট বোনের জন্য জামা আর বড় বোনের ছেলের জন্য প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির ‘বেস্ট বাই’ শো রুম থেকে ছোট্ট সাইকেল কিনেছেন তিনি।

কেয়া পরিবহনের কাউন্টার ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের সকাল থেকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে ৩টি ও বগুড়া-নওগাঁ রুটে ৪টি বাস ছেড়ে গেছে। রাস্তায় তেমন কোনো যানজটের খবর আমরা এখনো পাইনি। আশা করা যায় যথাসময়েই ঘরে গন্তব্যে পৌঁছাবে যাত্রীরা।

হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর কাউন্টার কর্মকর্তা বাবুল জানান, সকাল থেকে অসংখ্য তানুষ আসছে। যাদের টিকিট দিয়েছি তারা ঠিকঠাক আসছেন কি না কেউ রাস্তায় আটকা পড়লেন কি না সবই দেখতে হচ্ছে। বিভিন্ন রুটে সিডিউল বাসকে সহায়তায় রিজার্ভ বাসও রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

জেইউ/এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।