শনাক্ত হয়নি ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর হুমকিদাতা


প্রকাশিত: ০৪:০৮ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর্য শিল্পী ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে হত্যার হুমকিদাতা এখনো গ্রেফতার হয়নি। এ ঘটনার প্রায় দেড়মাস পেরিয়ে গেলেও হুমকিদাতাকে শনাক্তের কাজটিও শেষ করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সংস্থা।
 
এর আগে গত ৮ আগস্ট অজ্ঞাত একটি নম্বর থেকে ফোন দিয়ে এই শিল্পীকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। ব্লগার নীলাদ্রি নিলয় হত্যার ঠিক পরদিন এ হুমকি দেয়া হয়েছিল। ফোনে প্রিয়ভাষিণীকে বলা হয়, ‘প্রস্তুত হও। তোমার পরিণতিও ব্লগার নিলয়ের মতো হবে।’
 
সেদিন রাতেই ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। এ ঘটনার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে সার্বক্ষণিক পুলিশি নিরাপত্তা দেয়া হয়।
 
৮ আগস্ট শনিবার বিকেল ৫ টা ৭ মিনিটে গ্রামীণফোন অপারেটরের ০১৭৩৯-৩০১১২৯ নম্বর থেকে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল। এই নম্বরটি কার এবং ফোন কলটি কোন এলাকা থেকে করা হয়েছিল জানতে চাইলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, নম্বরটি যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে। এটি ভুল নাম-ঠিকানা, ছবি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। তাই এখনো আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি।
 
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, যে নম্বরটি দিয়ে হুমকি দেয়া হয়েছে তার কললিস্ট দেখে কিছু ক্লু পাওয়া গেছে। কাউকে শনাক্ত না করা গেলেও এটি নিশ্চিত যে হুমকিটি কোন উগ্রপন্থী সংগঠন দেয়নি। ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্যেই হুমকিটি দেয়া হয়েছে।
 
ঘটনার তদন্ত প্রসঙ্গে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা আসামিকে শনাক্তে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। তদন্তের জন্য প্রিয়ভাষিণীসহ তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এখনো সন্দেহভাজন কাউকে এখনো আটক করা হয়নি। তবে আসামিকে শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।’
 
৭ আগস্ট একটি টেলিভিশনের টক শো’তে ব্লগার নিলয় হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কড়া মন্তব্য করেছিলেন প্রিয়ভাষিণী। ব্লগারদের ওপর কারা বার বার হামলা চালায় সে প্রশ্ন রেখে উগ্রপন্থীদের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। এ কারণেই পরদিন তাঁকে হুমকি দেয়া হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
 
তদন্ত প্রসঙ্গে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী জাগো নিউজকে বলেন, পুলিশ জানিয়েছে তারা আসামি শনাক্তের কাজ করছে। জিডি করার পর আমার নিরাপত্তার জন্য কয়েকজন পুলিশ দেয়া হয়েছিল। তারা সার্বক্ষণিক আমাকে নিরাপত্তা দিতেন। তবে আমি তাদের চলে যেতে বলেছি। আমার জন্য তারা সারাদিন এতো কষ্ট করুক আমি চাই না। তাই আমি তাদের সরে যেতে বলেছি।
 
ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর ছেলে কারু তিতাস বলেন, হুমকিদাতাকে চিহ্নিত না করা পর্যন্ত আমরা শঙ্কায় আছি। অবিলম্বে তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
 
এআর/এসএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।