যশোরে অগ্রণী ব্যাংকের ২১ লাখ টাকা লুট


প্রকাশিত: ০৯:২২ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

যশোরে অগ্রণী ব্যাংক রাজারহাট শাখার ২১ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা।  বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুই আনসার সদস্যকে বেঁধে গ্যাস কাটার দিয়ে জানালার গ্রিল কেটে ডাকাতরা ব্যাংকের ভেতরে ঢুকে।

অগ্রণী ব্যাংক রাজারহাট শাখার ব্যবস্থাপক নারায়ণ চন্দ্র জাগো নিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ডাকাত দল ব্যাংকে গ্যাস কাটার দিয়ে গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর গ্যাস কাটার দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট কেটে ২১ লাখ ৮ হাজার টাকা লুট করে নেয়। শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসন ও ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা ডাকাতির ঘটনাটি তদন্ত করছেন।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ৫/৬ জনের একদল ডাকাত মুখোশ পরে ব্যাংকে হানা দেয়। এ সময় তারা ব্যাংকের নৈশকালীন দায়িত্বে থাকা দুই আনসার সদস্য বিশ্বজিৎ ও সাইদুলকে বেঁধে ফেলে। এরপর গ্যাস কাটার দিয়ে জানালার গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে। ভিতরে ঢুকে গ্যাস কাটার দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট কেটে ফেলে। ভল্টের মধ্যে থাকা ২১ লাখ ৮ হাজার টাকা লুট করে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।  

সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংকের এই শাখার ভল্টে ১০ লাখের বেশি টাকা রাখার কথা নয়। তারপরও এত টাকা কেন ব্যাংকের ভল্টে রাখা হলো সেটিও খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এদিকে, খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু’টি গ্যাস সিলিন্ডার, জানালার গ্রিলের সঙ্গে বাঁধা দড়িসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করেছে। তবে ব্যাংকের একটি সিসি ক্যামেরা ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনসার সদস্য বিশ্বজিৎ ও সাইদুলকে থানায় নিয়ে গেছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকে হানা দিয়ে ভল্ট কেটে ২১ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং আলামত পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, সিআইডিসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সংস্থা এক সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িতদের আটকের জন্য মাঠে নামছে। অচিরেই এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করে আইনের হাতে সোপর্দের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

অগ্রণী ব্যাংক খুলনা সার্কেলের উপ-মহাব্যবস্থাপক শেখর চন্দ্র বিশ্বাস জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, প্রশাসনের পাশাপাশি তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় ব্যাংকের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। পাশাপাশি ঢাকা থেকে আইটি বিশেষজ্ঞ টিমও আসছে। তারা ব্যাংকের ভল্টসহ আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলো পরীক্ষা করে ব্যাংকের কার্যক্রম পুনরায় চালুর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে।

ব্যাংকের ভল্টে ১০ লাখ টাকার বেশি রাখা প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই শাখাগুলোর ভল্টে সাধারণত ১০ লাখ টাকার বেশি রাখার কথা নয়। তবে ঈদকে সামনে রেখে গ্রাহক চাহিদার কারণে অতিরিক্ত টাকা রাখা হতে পারে। এ বিষয়টি তদন্তের আওতায় আসবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

# অগ্রণী ব্যাংকে ডাকাতি : ২১ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ

মিলন রহমান/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।