আমরা দর্শক ধরে রাখতে পারছি না
লাক্সের সেরা মুকুট পরে ২০০৬ সালে শোবিজে পথচলা শুরু করেন জাকিয়া বারী মম। তৌকির আহমেদ পরিচালিত ‘দারুচিনি দ্বীপ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জিতে নিয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর পুরস্কার। তারপর মমকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এগিয়ে গেছেন ছোট ও বড় পর্দায় সমানতালে।
আসছে কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততার সময় কাটছে মমর। ছোট পর্দার জন্য কাজ করেছেন প্রায় দু’ডজন নাটকে। বৃহস্পতিবার শত ব্যস্ততার মাঝেই জাগো নিউজের সাথে আলাপে মগ্ন হয়েছিলেন জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী। সঙ্গে ছিলেন নাহিয়ান ইমন
জাগো নিউজ : সামনে ঈদ। খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন বুঝি?
মম : একদম তাই। দম ফেলার সময় পাচ্ছি না। একের পর এক কাজ করে যাচ্ছি। তবে ক’দিনের মধ্যেই ব্যস্ততা কিছুটা কমে আসবে।
জাগো নিউজ : কী কী নাটকে কাজ করলেন?
মম : এবারের ঈদে অনেক কাজই করেছি এবং করে যাচ্ছি। সবগুলো বলে শেষ করা মুশকিল। তবে কয়েকজন নামকরা নির্মাতার নাটকে কাজ করেছি। যেমন সকাল আহমেদ, শিহাব শাহিন, আরিয়ান খান, কৌশিক শংকর দাস, আশরাফুল চঞ্চল প্রমুখ। নতুনদের সাথেও বেশ কিছু কাজ করেছি। এখনো কিছু কাজ হাতে আছে যেগুলো কয়েকদিনের মধ্যেই শেষ হবে।
জাগো নিউজ : এতো কাজ একসাথে করে নাটক কিংবা অভিনয়ের মানটা বজায় থাকে?
মম : এটার বিচার করবেন দর্শকরা। তারা যেভাবে মমকে চাইবে আমি সবসময় চেষ্টা করবো নিজেকে সেভাবে হাজির করতে। তাছাড়া আমাদের নাটকের মান এখনো অনেক ভালো।
জাগো নিউজ : টেলিভিশনে নাটকের দর্শকরা দিনদিন বিদেশি সংস্কৃতির দিকে ঝুঁকছেন। এতে দেশীয় নাটকগুলো হুমকির মুখে পড়ছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কী?
মম : এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে আমাদের দেশে ভালো নাটক ও অনুষ্ঠান নির্মাণ। দর্শকরা কী দেখবেন সেটা তাদের বিষয়। যদি সে মানের নাটক কিংবা অনুষ্ঠান আমরা বানাতে না পারি যা দর্শকরা বিদেশের দিকে ঝুঁকবেনই। তারা বিনোদন চায়। তাদের যেটা ভালো লাগবে সেটাই তারা দেখবে। এর পুরো দায়ভার আমাদের। আমরা দর্শকদের ধরে রাখতে পারছি না। একটা কথা মনে রাখতে হবে, টিভির রিমোট সবসময় দর্শকদের হাতের মুঠোতেই থাকে। তারা কখন কোন বাটন টিপবেন সেটি তাদের রুচি ও পছন্দের উপর নির্ভন করে। আমরা যদি তাদের রুচির ও পছন্দ মতো অনুষ্ঠান নির্মাণ করতে পারি, তবে অবশ্যই তারা তা দেখবেন বলে আমি মনে করি।
জাগো নিউজ : নিজের অভিনীত নাটকগুলো দেখেন?
মম : অবশ্যই দেখি এবং আগামী ঈদেও দেখবো ইনশাল্লাহ। ঈদের সময় বাসায় থাকি পরিবারের সাথে। এসময় সকলে মিলে একসাথে উপভোগ করি। আমার পরিবার থেকে আমার কাজের সমালোচনাও করাও হয়। কোনটা ভালো হয়েছে কিংবা কোনটা আরো বেশি ভালো করা যেতো সবগুলো পরিজনরাই ধরিয়ে দেন। এছাড়া কাছের মানুষ-বন্ধুরাও আমাকে অনেক সাপোর্ট করেন সবসময়।
জাগো নিউজ : আপনার ছুঁয়ে দিলে মন ছবিটি বেশ সাড়া পেয়েছিলো। কিন্তু তারপর নতুন কোনো চলচ্চিত্রে দেখা যাচ্ছে না কেনো?
মম : ছুঁয়ে দিলে মন ছবিটি মুক্তির পর অভূর্তপূর্ব সাড়া পেয়েছি এবং সবাই খুব বাহবা দিয়েছেন। সবার প্রশংসায় আমি সিক্ত। সেজন্য নতুন কোনো ছবিতে কাজ করলে আগাগোড়া চিন্তা করেই কাজ করবো ভেবেছি। তবে নতুন ছবিতে কাজের অফার প্রতিনিয়ত আসছে। কিন্তু গল্প শোনার পর পছন্দ হচ্ছে না। যদি ব্যাটে-বলে মেলে অবশ্যই নতুন কোনো ছবিতে কাজ করবো।
এনই/এলএ