চমকে দিতে আসছেন নতুন ব্যোমকেশ

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৯ পিএম, ২০ আগস্ট ২০১৯

শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি ব্যোমকেশ বক্সী। ব্যোমকেশের আবির্ভাব ১৯৩২ সালে। সাহিত্যের পাশাপাশি পর্দাতেও দুর্দান্ত সফল ব্যোমকেশ। এই চরিত্রকে নিয়ে প্রথম সিনেমা বানান সত্যজিত রায়, ১৯৬৭ সালে। ‘চিড়িয়াখানা’ গল্প অবলম্বনে একই নামে তিনি সিনেমা বানান। তার ব্যোমকেশ ছিলেন উত্তম কুমার। আর অজিত ছিলেন শৈলেন মুখোপাধ্যায়।

এরপর কলকাতার অনেক বিখ্যাতা ও জনপ্রিয় অভিনেতারাই ব্যোমকেশ চরিত্রে আলো ছড়িয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখ করা যায় অঞ্জন দত্তের পরিচালনায় তিনটি ছবির ব্যোমকেশ হিসেবে নন্দিত হওয়া আবির চ্যাটার্জির নাম। তার সঙ্গে অজিত চরিত্রে ‘ফেলুদা’ সিরিজের তোপসে খ্যাত শ্বাশত চট্টোপাধ্যায় দারুণ অভিনয় করেছেন। তাদের জুটির সত্যবতী ছিলেন উষশী চক্রবর্তী।

অঞ্জন দত্তের চতুর্থ সিনেমায় ব্যোমকেশ পাল্টে যায়। তখন আবিরের বদলে অভিনয় করছেন যীশু সেনগুপ্ত। তিনিও বেশ জনপ্রিয়তা পান এই চরিত্রে।

এছাড়াও ঋতুপর্ণ ঘোষসহ আরও অনেক গুণী নির্মাতা ব্যোমকেশকে তাদের মতো করে সেলুলয়েডে তুলে ধরেছেন। তবে বাঙালি দর্শকের একটা আক্ষেপ ছিলো এই চরিত্রে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে না দেখতে পারার। সেই আক্ষেপ এবার মিটতে চলেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আসছে পূজায় সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ হয়ে হাজির হবেন তিনি।

তাকে নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করছেন ব্যোমকেশকে নিয়ে ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করা পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল। এখানে পরমের সঙ্গে ডা. অজিত চরিত্রে দেখা যাবে কলকাতার তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকে। আরও আছেন নবাগতা আয়োশী তালুকদার ও সুপ্রভাত।

ছবিটির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসেবে সায়ন্তনকে গাইড করছেন অঞ্জন দত্ত। ‘মগ্নমৈনাক’ অবলম্বনে ছবির চিত্রনাট্যও লিখেছেন অঞ্জন। ছবির নাম হতে যাচ্ছে ‘সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ’।

ব্যোমকেশের চরিত্রে সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তিনি গণমাধ্যমে জানান, ‘প্রস্তুতি বলতে প্রথমে গল্পটা পড়া। দ্বিতীয়ত, অঞ্জনদার লেখা চিত্রনাট্য পড়ে চরিত্রটার দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা। আর শেষ কয়েক বছরে দর্শক যেভাবে ব্যোমকেশকে দেখেছেন, সেই ভাবটার কাছাকাছি থেকেও নতুনত্ব বার করে আনা।’

অন্যদিকে রুদ্রনীল ঘোষের দাবি, পর্দায় অজিতকে বাঁচিয়ে তোলাই তার বড় দায়িত্ব।
তার ভাষ্য, ‘অঞ্জনদার পরে অনেকেই ওয়েব-বড় পর্দায় ব্যোমকেশ করেছেন। তবে চিত্রনাট্যের স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী, অজিত ক্রমশ গায়ে লেগে থাকা চরিত্রে পরিণত হয়েছে, যে সংলাপ বলার জন্য অপেক্ষা করে থাকে। ব্যোমকেশ সত্যান্বেষী, অজিত ব্যোমকেশমুখী। তাই আগে যারা অভিনয় করেছেন, তাঁদের চেয়ে খারাপ যেন না করি, সেটাই চেষ্টা।’

প্রসঙ্গত, শরদিন্দুর একই গল্প অবলম্বনে ২০০৯ সালে স্বপন ঘোষাল ব্যোমকেশকে নিয়ে সিনেমা তৈরি করেন। সেই সিনেমার নামও ছিলো ‘মগ্ন মৈনাক’। সেখানে ব্যোমকেশ চরিত্রে অভিনয় করেন শুভজিৎ দত্ত। আর অজিত চরিত্রে রাজর্ষি মুখোপাধ্যায় ও সত্যবতী চরিত্রে পিয়ালী মুন্সীকে দেখা গিয়েছিলো।

এলএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।