ভেঙে গেল অভিনেত্রী দিয়া মির্জার সংসার
তাকে বলা হয় বলিউডের নতুন ঐশ্বরিয়া। দেখতে অনেকটাই অ্যাশের মতো তিনি। হাসলে গালে টোল পড়ে। চোখগুলোও সাগরপাড়েরর মেয়েদের মতো নীলাভ। রুপ আর গুণের রোশনাই ছড়িয়ে বি টাউনে যাত্রা শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী দিয়া মির্জা।
কিন্তু খুব একটা সুবচিার করতে পারেননি নিজের মেধার। ক্যারিয়ারে সাফল্যের ফুল তেমন করে না ফুটলেও বিয়ের ফুল বেশ ঘটা করেই ফুটিয়েছিলেন।
‘লাভ ব্রেক আপ জিন্দেগি’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে পরিচালক ও ব্যবসায়ী সাহিল সাঙ্গার সাথে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায়। সেই ঘনিষ্ঠতাকেই স্বীকৃতি দিতেই তারা বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু সেই সংসার টিকিয়ে রাখতে পারেননি তারা। হাঁটছেন বিচ্ছেদের পথে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরের দিকে দিয়া মির্জা তার ইনস্টাগ্রামে নিজেই সে কথা জানান। সেখানে একটি পোস্টে দিয়া মির্জা লিখেন, ‘১১ বছর ধরে আমাদের জীবন ভাগ করে নেওয়ার পরে আমরা পারস্পরিকভাবে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি আরও লিখেন, ‘আমরা বন্ধু হিসেবে ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা নিয়ে থাকবো। আমাদের ভ্রমণগুলি আমাদের বিভিন্ন পথে নিয়ে যেতে পারে, আমরা একে অপরের সাথে যে বন্ধনটি ভাগ করি তার জন্য আমরা চিরকাল কৃতজ্ঞ। আমরা আমাদের পরিবার এবং আমাদের বন্ধুদের সমস্ত ভালবাসা এবং বোঝার জন্য ও মিডিয়া সদস্যদের অব্যাহত সহায়তার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।
এই মুহূর্তে আমাদের গোপনীয়তার প্রয়োজনীয়তার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা এ বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করব না।’
২০০১ সালে ‘রেহেনা হে তেরে দিলমে’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন দিয়া। বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেও প্রথম সারিতে পৌঁছার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যান তিনি। পরে অনেকদিন বাদে ‘লাভ ব্রেক আপ জিন্দেগি’ ছবিতে অভিনয় করে সাফলতা না পেলেও জীবন সঙ্গীকে খুঁজে পেয়েছিলেন দিয়া মির্জা।
এলএ/এমকেএইচ