চার সভাপতির সঙ্গে তথ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠক
ছোটপর্দার নানা সমস্যা দূর করতে নাটকের ১৩ সংগঠন ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশনের (এফটিপিও) ব্যানারে মাঠে নেমেছিল। ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর নাট্যজন মামুনুর রশীদকে আহ্বায়ক ও গাজী রাকায়েতের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অভিনয়শিল্পী কলাকুশলীদের বিশাল সমাবেশ হয়। তিন বছর পর সেই আন্দোলনের সুফল আসতে চলেছে।
সেই আন্দোলনের দাবিগুলো নিয়ে বুধবার বিকেলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মালেকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নাটকের চার সংগঠনের সভাপতি। জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের সভাপতি মাসুম রেজা।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইরেশ যাকের, ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু ও অভিনয় শিল্পীসংঘের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম।
মাসুম রেজা বলেন, আন্দোলনে তুলে ধরা আমাদের দাবিগুলো তথ্য মন্ত্রণালয় গুরুত্ব-সহকারে আমলে নিয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে পাস করার জন্য খসড়া করা হয়েছে। মূলত সেগুলো নিয়েই আজকের বৈঠক হয়েছে আমাদের সঙ্গে। আশা করছি শিগগিরই সেগুলো প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ পাবে। এটি প্রকাশ পেলে আশা করছি পুরো টিভি ইন্ডাস্ট্রি একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে।
দেশের নাট্যসংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর শিল্পী-কলাকুশলীদের দাবি ছিল
১. ডাবিংকৃত বিদেশি ধারাবাহিক দেশীয় টেলিভিশনে প্রচার করা যাবে না।
২. টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ, ক্রয় ও প্রচারের ক্ষেত্রে এজেন্সির হস্তক্ষেপ ছাড়া চ্যানেলের অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে হবে।
৩. টেলিভিশন শিল্পের সর্বক্ষেত্রে এআইটির ন্যূনতম ও যৌক্তিক হার পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।
৪. দেশের টেলিভিশন শিল্পে বিদেশি শিল্পী-কলাকুশলীদের অবৈধভাবে কাজ করা বন্ধ করতে হবে।
৫. ডাউনলিংক ফি’তে সমতা আনতে হবে। দেশের বিজ্ঞাপন বিদেশি চ্যানেলে প্রচার করা যাবে না, প্রভৃতি।
এমএবি/বিএ