প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চান পা কেটে ফেলা অভিনেতা বাবর

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২৪ পিএম, ১০ জুন ২০১৯

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত বাবর। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ তিনি। অর্থের অভাবে হচ্ছে না সুচিকিৎসা। মাঝখানে চিকিৎসা অপূর্ণ রেখেই বাসায় ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।

এবার তার পরিবার জানালো, গ্যাঙরিনের কারণে বাম পা কেটে ফেলতে হলো এই অভিনেতার। গতকাল রাজধানীর গ্রিন রোডের কমফোর্ট হাসপাতালে তার অপারেশন হয়। এখন প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদে হাসপাতালে থেকে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা। কিন্তু তার জন্য যে খরচ দরকার তা জোগান দিতে পারছে না তার পরিবার।

এ অভিনেতার হয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য কামনা করেছেন তার স্ত্রী লতিফা বাবর।

তিনি আজ সোমবার বিকেলে জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত রোববার তার অপারেশন হয়েছে। অবস্থা খুবই নাজুক ছিল। তার হাটুর নিচে থেকে কেটে ফেলে দেয়া হয়েছে। ডা. খালেকুজ্জামান জিপুর তত্ত্বাবধানে এই অপারেশন হয়েছে।’

তিনি জানান, এর আগে ডাক্তারের পরামর্শে একই পায়ের তিনটি আঙুল ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এবার বাম পা কাটা হলো। তার অবস্থা এখন ভালো নয়। অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা করতে পারছি না!

এই অভিনেতার স্ত্রী জাগো নিউজকে আরও বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই অসুস্থ আমার স্বামী। একটা সময় চলচ্চিত্রে নিয়মিত ছিলেন। সেখানকার অনেকেই আসতেন যেতেন, যোগাযোগ ছিল। এখন আর তেমন কাউকে দেখি না। কেউ খোঁজখবরও রাখে না খুব একটা।

আমাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছেলেও বিয়ে করে আলাদা থাকে। সংসারে আয় রোজগারের তেমন কোনো উৎস নেই। দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসা সামলে যাচ্ছি আমি। অনেক কষ্ট করেই আমাদের টাকা ম্যানেজ করে থেমে থেমে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে।

কাল অপারেশন হলো। অনেক দিন হাসপাতালে থাকা দরকার। কিন্তু জানি না কতদিন হাসপাতালে রাখতে পারবো।’

প্রসঙ্গত, আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘বাংলার মুখ’ চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে অভিষেক হলেও বাবরকে দর্শকরা চিনেন মূলত খলনায়ক হিসেবে। আশি নব্বই দশকে রুপালি পর্দায় তিনি আতঙ্ক ছড়াতেন ভয়ঙ্কর ভিলেন হয়ে।

তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা। তার ভরাট সংলাপ ও কূটচালের অভিনয়ে মুগ্ধ হতেন দর্শক।

এলএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।