হিন্দু জনসংখ্যা বাড়াতে নিঃসন্তান দম্পতিদের জন্য হেল্পলাইন
ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা বাড়াতে এবার নিঃসন্তান দম্পতিদের জন্য বিশেষ হেল্পলাইন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। মহারাষ্ট্রে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট প্রবীণ তোগাড়িয়া রোববার এক বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৈঠকে তিনি বলেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নিঃসন্তান হিন্দু দম্পতিদের জন্য চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য সহযোগিতা করবে। ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা বাড়াতে এবার নিঃসন্তান দম্পতিদের জন্য বিশেষ হেল্পলাইন চালু করবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
প্রবীণ তোগাড়িয়া বলেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নিঃসন্তান হিন্দু দম্পতিদের জন্য চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য সহযোগিতা করবে। যদি এসব দম্পতি টেস্টটিউব বেবির মাধ্যমে মা-বাবা হতে চায় তাহলে তাদের সাহায্য করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। এ জন্য হেল্পলাইনে তারা ফোন করতে পারবে।
মহারাষ্ট্রে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় মার্গ দর্শকমন্ডলের বৈঠকে প্রবীণ তোগাড়িয়া বলেন, হিন্দু জনসংখ্যা ৮০ শতাংশের নিচে নেমে আসা খুব উদ্বেগজনক বিষয়। মুসলিম সমাজের জনসংখ্যা ২৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, হিন্দু জনসংখ্যা ৭.৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় জাতীয় জনসংখ্যা নীতি তৈরি করা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কয়েকদিন আগে সরকারিভাবে ধর্মীয় ভিত্তিতে আদমশুমারি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, গত দশ বছরে মুসলিম জনসংখ্যা ২৪.৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, হিন্দু জনসংখ্যা ১৬.৮ শতাংশ হারে বেড়েছে। যদিও তোগাড়িয়া তার বিবৃতিতে হিন্দু জনসংখ্যা ৭.৫ শতাংশ হারে বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যেটি সরকারি পরিসংখ্যানের পরিপন্থী বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি, এটা খুব স্পষ্ট যে দেশের অন্যান্য সম্প্রদায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করে থাকে। কিন্তু মুসলিম সম্প্রদায় এ নিয়ে সহযোগিতা করার পরিবর্তে জনসংখ্যা বাড়ানোর প্রচার করছে তারা। এটা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।
২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দেশটির আদমশুমারি রিপোর্টে বলা হয়েছে, সারা দেশে মোট জনসংখ্যা ১২১.০৯ কোটি। এরমধ্যে হিন্দু জনসংখ্যা ৯৬.৬৩ কোটি। অন্যদিকে, মুসলিম জনসংখ্যা মাত্র ১৭ কোটি ২২ লাখ।
২০০১ সালে মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ছিল ২৯.৫২ শতাংশ। ২০১১ সালে এই বৃদ্ধির হার কমে ২৪.৬০-এ দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, ২০০১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১৯.৯২ শতাংশ। ২০১১ সালে এই বৃদ্ধির হার ১৬.৭৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এসআইএস/আরআইপি