ঈদে বাড়তি আনন্দ দিয়েছে বাংলাদেশের খেলা : সাইমন
সারা বছর এই সুন্দর দিনটার জন্য অপেক্ষা করেন মানুষ। দেশ বিদেশ থেকে সবাই ঘরে ফেরে। রঙিন দিনটিকে আরও রঙিন করে তুলতে প্রচেষ্টার শেষ থাকে না মানুষের। তারকারাও ব্যক্তি জীবনের ঈদকে সাজান অন্যদের মতই।
তারকাদের ঈদ নিয়ে জানার আগ্রহ থাকে দর্শকদের। তার কে কী কিনলেন ঈদে, কোথায় ঘুরতে যাচ্ছেন?, ঈদের দিনটা কীভাবে কাটাচ্ছেন? ঈদের কোন খাবার পছন্দ? ছোটবেলার ঈদ কেমন ছিলো। এসব নানা বিষয় নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন সাইমন সাদিক।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও কিশোরগঞ্জে নিজের গ্রামে ঈদ করেছি। ঈদে আসলে পরিকল্পনা করে কিছু করা হয় না। বাড়িতে গিয়ে হঠাৎ বন্ধুরা মিলে কোনো না কোনো আয়োজন করে ফেলি। এবারও অনেক কিছু করেছি।
তবে ঈদের মধ্যে এবার বাড়তি আনন্দ হিসেবে ছিলো বাংলাদেশের ম্যাচগুলো। ঈদের দিন খেলা দেখেছি। এনজয় করেছি। খুব ভালো সময় কেটেছে।’
ঈদের কেনা কাটা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাইমন বলেন, ‘ঈদে কেনাটা করেছি ঈদের দুই দিন আগে। অনেক কেনাকাটা করতে হয় আমাকে। আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধবদের খুশি করতে, তাদের একসঙ্গে নিয়ে ঈদ করতে পছন্দ করি আমি।
আসলে নিজের চেয়ে অন্যদের জন্যই বেশি কেনাকাটা করতে হয়। ঈদে এখন পাওয়ার চেয়ে বেশি দিতেই হয়। অবশ্য নিজেও উপহার পাই। এইবার ঈদে পাঁচ ছয়টা পাঞ্জাবি উপহার পেয়েছি।’
ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে সেমাই খেতে ভীষণ পছন্দ করেন সাইমন। ঈদগাহ থেকে বাসায় ফিরে পোলাও, মুরগী পছন্দ করেন। মায়ের হাতের নানা পদের রান্না করা খাবারের টান তো থাকেই। এবারেও হরেক রকমের খাবার খেয়েছেন তিনি।
নিজে কী রান্না করেন কখনো? চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক বললেন, ‘এক সময় ঢাকায় বন্ধুরা মিলে মেস করে থাকতাম। আমরা নিজেরাও রান্না করতাম। সেই থেকেই নিজেও কিছু না কিছু রান্না করতে পারি।
এখনো বাসায় শখের বশে রান্না করি। বাড়িতে আসলে কি আম্মা আমাকে রান্না করতে দিবেন! বাড়ি আসলে শুধু ঘুরাঘুরি, আড্ডা। এতো মজা করি যে মনে হয় যদি না ঘুমানো লাগতো।’
শৈশবের ঈদ স্মৃতি জানতে চাওয়া হলে সাইমন বলেন, ‘বাড়িতে যাওয়া মানেই শৈশবের মতই সময় কাটানো, এখনো শৈশবেই আছি। (হাসতে হাসতে) আর ঢাকায় গেলে বড় হয়ে যাই।’
এমএবি/এলএ/পিআর