বাবার সঙ্গে শেষ ঈদের স্মৃতি কষ্ট দেয় : নিরব

মাসুম আওয়াল
মাসুম আওয়াল মাসুম আওয়াল , স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ০২:২৮ পিএম, ০৬ জুন ২০১৯

ঈদ মানে খুশি। এই রঙিন দিনটিকে আরও রঙিন করে তুলতে প্রচেষ্টার শেষ থাকে না মানুষের। তারকারাও ব্যক্তি জীবনের ঈদকে সাজান অন্যদের মতই। তারকাদের ঈদ নিয়ে জানার আগ্রহ থাকে দর্শকদের।

তারা কে কী কিনলেন ঈদে, কোথায় ঘুরতে যাচ্ছেন? ঈদের দিনটা কীভাবে কাটাচ্ছেন? ঈদের কোন খাবার পছন্দ? ছোটবেলার ঈদ কেমন ছিলো? দর্শকের কথা মাথায় রেখেই তারকাদের সেইসব বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছে জাগো নিউজ। ঈদে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন চিত্রনায়ক নিরব।

নিরব বলেন, ‘আমি ঢাকাতেই ঈদ করেছি। ঈদের সময় ঢাকাতেই থাকি। এমন কী ঈদের বাজারও করি ঢাকাতেই। পাঞ্জাবী, পায়াজামা, স্যান্ডেলই ঈদের সেরা পোশাক বলে মনে হয় আমার কাছে। এগুলা ছাড়া আসলে ঈদ অসম্পূর্ণ মনে হয়।

ঈদের আগের দিনে ঈদের বাজার করতে ভালো লাগে। ঈদের আগের দিন চাঁদ রাতের একটা আলাদা রকমের আবেদন আছে। ঈদটা আসলে তখন থেকেই শুরু হয়ে যায়। এবারও তাই ছিলো।’

নিরব আরও বলেন, ‘ঈদের দিন একটু সকাল সকালই ঘুম থেকে উঠতে হয়। গোসল করে নামাজেও যাওয়ার আগে সেমাই খাওয়ার মজাই আলাদা। ঈদগাহ থেকে ফিরে শুরু হয় বেড়ানোর পরিকল্পনা। আর মজার মজার খাবার খাওয়ার ধুম তো লেগেই থাকে।

ঈদের দিন অনেক খাবারের ভিড়ে বিশেষ কোনো পছন্দের খাবার নেই আমার পছন্দের তালিকায়।

ঈদের দিন সেমায়, পায়েস, নানা রকম পিঠাসহ অনেক খাবার রান্না হয়। প্রত্যেকটি খাবারেই অন্যরকম ভালোবাসার ছোঁয়া থাকে। আমার কোনো খাবারেই অনিহা নেই। সবকিছুই একটু একটু করে খেয়ে দেখি।’

স্ত্রী ঋদ্ধি ও দুই মেয়ে সুমাইয়া হোসেন যুওয়াইনাহ, সাওদা হোসেন যুওয়াইনাহ এর সঙ্গে বেশ আনন্দেই নিরবের ঈদ কেটেছে। তবে কথার ফাঁকে ছোট বেলার ঈদ স্মৃতি মনে করলেন তিনি। মন খারাপ করার মতো সেই ঈদ স্মৃতি।

নিরব বলেন, ‘১৯৯৬ সালের এক ঈদের কথা মনে পড়ে। যেই ঈদটা আমি গ্রামের বাড়িতে করেছিলাম। পরিবারের কেউ ছিলো না শুধু আমি আর আমার বাবা ছিলাম সেখানে। বাবা-ছেলের অন্যরকম এক ঈদের দিন কেটেছিলো।

আর এই ঈদটাই ছিলো আমার বাবার সাথে করা শেষ ঈদ। ঈদের পরে ওই বছরই বাবা মারা গেছেন। এখন গ্রামের ঈদ করতে গেলে বাবাকে তো আর পাবো না।’

এমএবি/এলএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।