ভারতের পুরীতে সংবর্ধিত বাংলাদেশের তিন শিল্পী
ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের সমুদ্রতীরবর্তী নগরী পুরী’তে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘আন্তর্জাতিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্মেলন-২০১৫’। পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার তাহেরপুর থেকে প্রকাশিত ‘খোলাচিঠি’ ও ‘স্বপ্ন’ পত্রিকার উদ্যোগে আয়োজিত ৩০তম এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রবীণ কবি কৃষ্ণা বসু।
সারাবিশ্বের বাংলাভাষী একশত জন কবি-সাহিত্যিকের এই মিলনমেলায় বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রিত, সংবর্ধিত ও পুরস্কৃত হন স্বাধীনবাংলা বেতারের শিল্পী ও গুণী সাহিত্যিক বুলবুল মহলানবীশ, লেখক-গবেষক-প্রকাশক সৈয়দা নাজমুন নাহার এবং কবি-প্রাবন্ধিক-গবেষক অধ্যাপক আকমল হোসেন খোকন।
প্রয়াত কবি সুমিতেশ সরকার স্মরণে আয়োজিত দুইদিনব্যাপি সম্মেলনের প্রধান অতিথি ছিলেন সার্ক কালচারাল ফোরামের সম্পাদক চন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। সভাপতিত্ব করেন বাংলাভাষার বিশিষ্ট ও জনপ্রিয় কবি অরুণ চক্রবর্তী।
সম্মেলনে স্বরচিত কবিতা-গল্প-স্মৃতিকথা পাঠ ও আবৃত্তির পাশাপাশি ছিল সঙ্গীতায়োজন। ওপার বাংলার কবি-শিল্পীদের সঙ্গে বাংলাদেশে থেকে আরো যোগ দেন বুলবুল মহলানবীশের অনুজা ‘শিল্পী মহলানবীশ’। সংগীত পরিবেশন করেন কমলিকা চক্রবর্তী ও অনিতা চট্টোপাধ্যায়।
অনুষ্ঠানে প্রবীণ কবি দীপেন ভাদুড়ী, তাপস সাহা, গোপালকৃষ্ণ দত্ত, কমলেশ কর, ব্রততী ঘোষ রায়, মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, মাজরুল ইসলাম, ডা. দিলীপ কুমার সাহা, শৈলেন দে, তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বদেশ মুখোপাধ্যায়, সাদের আলী, শ্যামল তালুকদার, প্রেয়সী বোস, হরেন্দ্রনাথ গোস্বামী, অচ্যুত প্রামাণিক, জয়ন্তী হালদার, আনন্দমোহন মন্ডলসহ শ্রেয়া মুখার্জী, ইমন সাহা’র মতো তরুণ কবিরাও যোগ দেন।
তরুণ বাচিক শিল্পী অদিতি এবং প্রবীণ আবৃত্তিকার মানিক চক্রবর্তীর আবৃত্তি ছিল মনোমুগ্ধকর। উল্লেখ্য যে, উড়িয়া ভাষার কৃতী কবি মনোরমা মহাপাত্র ছাড়াও বাংলাভাষার সব অঞ্চলের প্রতিনিধি কবিরা সম্মেলনে পাঠ ও বক্তৃতায় অংশ নেন।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অনন্যসাধারণ এই মিলনমেলার পরিকল্পক, গবেষক ও সঞ্চালক হিসেবে সবার মন জয় করে নেন কবি-সম্পাদক-সংগঠক তারক দেবনাথ এবং কবি-আবৃত্তিকার জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়। ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনটি বাংলাদেশের ঢাকায় আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে পুরীর সম্মেলন শেষ করা হয়।
এলএ/আরআইপি