রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মমতাজউদদীনের দাফন
দেশের কীর্তিমান অভিনেতা ও নাট্যকার অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমেদ দীর্ঘদিন রোগ ভোগের পর রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার মারা যান। গতরাতে মীরপুর রূপনগর মদিনা মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় জানাজা।
এরপর দাফনের জন্য তার পরিবারের সদস্যরা মরদেহ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। মমতাউদদীনের ছেলে তিতাস মাহমুদ জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলারহাট উপজেলার বজরারটেক গ্রামে তার বাবাকে সোমবার রাতে দাফন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমার বাবা তার কর্মের জন্য সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পেয়েছেন।’ এ জন্যে পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘বাবার নির্মিত ও অভিনিত সব নাটক ও চলচ্চিত্র জাতীয় আর্কাইভে সংগ্রহ করা হলে তার কর্ম সম্পর্কে ভবিষৎ প্রজন্ম জানতে পারবে।’
মামুনুর রশীদ বলেন, ‘অসীম প্রভিতাধর ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মমতাজউদদীন। তার মৃত্যু আমাদের সংস্কৃতি জগতের জন্য এবং সবার জন্যই বেদনাদায়ক।’
অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমেদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক শোকবার্তায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ফুলেল শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ,দলের কেন্দ্রীয় নেতা অসীম কুমার উকিল এমপি, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, সংস্কৃতিজন রামেন্দু মজুমদার, নাট্যজন মামুনুর রশীদ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও লেখক মফিদুল হক, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ, কবি আসাদ মান্নানসহ বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা এবং সংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তি ও অভিনেতা-নাট্যকাররা।
এমএবি/এলএ/পিআর