২০৩০ সালের মধ্যে দেশ ক্ষুধামুক্ত হবে : পরিকল্পনামন্ত্রী


প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়তে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। বর্তমান সরকার নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে বেশ কিছু আইন প্রণয়ন করছে এবং আগামীতেও করবে।

রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক বিজ্ঞানভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি মাইক রবসন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ফুড অ্যান্ড সেফ্টি অফিসার মেরি কেনি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন। বিশ্বের ১০টি দেশের খাদ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞগণ এ সম্মেলনে যোগ দেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিশ্বে প্রতিদিন ৭০ হাজার শিশু খাদ্যের অভাবে মারা যাচ্ছে। এছাড়া বছরে ছয় মিলিয়ন শিশু ক্ষুধায় মারা যায়। প্রায় দুই কোটি মানুষ আজও দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। যার কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বে সকল মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু দেশ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পেরেছে আবার কতিপয় দেশ চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। গত ছয় বছর আগে দেশে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করত শতকরা ৩৬ জন লোক। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে শতকরা ২০ জনে। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে তা শতকরা দশ জনে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

তিনি আরো বলেন, খেয়াল রাখতে হবে আমরা যে খাদ্য গ্রহণ করি তা হতে হবে পুষ্টিকর। ছেলে কিংবা মেয়েদের সঠিক পুষ্টিকর খাবার না দিলে বড় হলে তাদের যেকোনো সময় শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সবাইকে এ দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য বিশ্বব্যাপি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের জনগণের কল্যানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছে, বিদেশে চাল রফতানি হচ্ছে।

অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরাও কাজ করলে সবাই উপকৃত হবে। এ সম্মেলন তারই একটি উদাহরণ।

এমএইচ/এএইচ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।