উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর রওনা হলেন সুবীর নন্দী

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:২৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

উন্নত চিকিৎসার জন্য একুশে পদকজয়ী সঙ্গীতশিল্পী সুবীর নন্দীকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১১টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে শিল্পীকে নিয়ে উড়াল দেয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।

সুবীর নন্দীর আত্মীয় সঙ্গীতশিল্পী তৃপ্তি কর জাগো নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে বরেণ্য এ শিল্পীর উন্নত চিকিৎসা চলবে।

আজ বিকেলে সিঙ্গাপুর থেকে অ্যাম্বুলেন্স আসার কথা থাকলেও সেটি পৌঁছায় রাত ৮টার পর। সুবীর নন্দীকে নিয়ে যেতে সিঙ্গাপুর থেকে একজন চিকিৎসক ও একজন নার্সও এসেছেন। আর শিল্পীর সঙ্গে আছেন তার মেয়ে ফাল্গুনী নন্দী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই উন্নত চিকিৎসার জন্য সুবীর নন্দীকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রাতে শিল্পীকে বিদায় দিতে তার পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। স্বজনদের চাপাকান্নায় বিদায়মুহূর্তে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

তৃপ্তি কর জানান, সুবীর নন্দীর জন্য দেশবাসীর দোয়া চেয়েছে তার পরিবার।

এর আগে ডা. সামন্ত লাল সেন রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে সুবীর নন্দীর শারীরিক অবস্থার কথা অবহিত করেন। এ সময় সুবীর নন্দীকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নিতে প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ওই হাসপাতালে যোগাযোগ করে সুবীর নন্দীকে সিঙ্গাপুরে নেয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও হার্টের অসুখে ভুগছিলেন সুবীর নন্দী। ১২ এপ্রিল পরিবারের সবাই মিলে মৌলভীবাজারে আত্মীয়ের বাড়িতে যান। সেখানে একটি অনুষ্ঠান ছিল। ১৪ এপ্রিল ঢাকায় ফেরার ট্রেনে ওঠার জন্য বিকেলে মৌলভীবাজার থেকে শ্রীমঙ্গলে আসেন তারা।

এসময় ট্রেনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তারপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাত ১১টার দিকে তৃপ্তি করের সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানে শিল্পীকে দ্রুত সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়। সিএমএইচে চিকিৎসাধীন সুবীর নন্দীর দেখাশোনায় সার্বক্ষনিক পাশে ছিলেন তার আত্মীয় সংগীতশিল্পী তৃপ্তি কর।

এলএ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।