নোবেলকে নম্বর কম দেয়ায় ক্ষেপেছে ভক্তরা

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:১৮ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০১৯

বাংলাদেশের নোবেল কলকাতার ‘সা রে গা মা পা’ মাতিয়েই চলেছেন। একের পর এক পারফর্ম দিয়ে তিনি চমক দেখিয়ে যাচ্ছেন। তার সৌজন্যেই 'সা রে গা মা পা'র দর্শক পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বাংলাদেশেই বেশি।

কিন্তু শনিবার রাতের পর্বে নোবেলের সঙ্গে অনুষ্ঠানের বিচারকের আচরণ মেনে নিতে পারছে না তার ভক্তরা। বিশেষ করে নোবেলের বাংলাদেশি দর্শকরা তার জন্য ক্ষোভও প্রকাশ করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

নোবেল নিজের গায়কী দিয়ে বিচারকদের মন জয় করলেও একজন বিচারক প্রশংসা করেও এক নম্বর কেটে ফেলেন। আর এতেই ক্ষুব্ধ এদেশের ভক্তরা।

সা রে গা মা পা’র ফেসবুকে পেইজে চলছে নানা রকম সমালোচনা। সাইফুল ইসলাম সোহেল নামে একজন লিখেছেন, ‘আমি আজ সারেগামাপা তে ১ টা জিনিস দেখলাম সবাই নোবেলের গানের খুব প্রশংসা করলো। কেউ কোন ভূল ধরলোনা। কোথাও কোন কিছু কমবেশি হলো তাও বললো না। কিন্তু শ্রিকান্ত আচার্য ওকে ১ নাম্বার কম দিল। আর ওর সাথে যে ছেলেটা গাইলো তার ভূল হয়েছে একথা বলার পরও ওকেও ৯ দিলো । কোন যুক্তি আছে এসবের। তবে আসল ব্যপার হচ্ছে এ অনুষ্ঠান থেকে নোবেল যা কিছু পেতে পারতো, তারও অনেক বেশি পেয়ে গেছে।

তাই এখন আর গোল্ডেন গিটার, চ্যাম্পিয়ান এসবের আর দরকার নেই। একজন শিল্পীর জীবনে সবচাইতে বড় পাওয়া হচ্ছে মানুষের ভালোবাসা। যা কোন প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ান, গোল্ডেন গিটার সবকিছুর উদ্ধে। আর দুই বাংলাতেই মানুষ তাকে সেই ভালোবাসা দিচ্ছে। যা ওকে নিয়ে এতো মাতামাতির কারনে সবাই টের পাচ্ছে।’

প্রেরণা মজুমদার নামে একজন লিখেছেন, ‘নোবেল নাম্বারের সীমা ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই,আচার্য্য বাবুর ১ নাম্বার দেবার অপেক্ষায় নোবেল বসে নেই,থাকবেও না।

কিন্তু ভালো গাওয়ার পরও যখন কম নাম্বার দেওয়া হয় তখন নোবেল ভক্তদের বুক ফেটে যায়।’

নোবেলকে ১ নম্বর কম দেয়া বিচারক শ্রীকান্ত আচার্যকে খোঁচা দিয়ে আনিকা নামের একজন লিখেছেন, ‘আজকে বুড়া জাজ টা ইচ্ছা করে নোবেল কে ১ নম্বর কম দিলো!

দুটো গান ই নোবেল অসাধারণ গেয়েছে।তাও ১০ এ ১০ দিলো না!’

উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে মইনুল আহসান নোবেল কলকাতার জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিতের একটি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছেন।

এলএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।