পুরস্কার পেলেন সেই ট্রাফিক কনস্টেবল
এক শিশুর জীবন রক্ষার জন্য পুরস্কৃত হলেন সিএমপির ট্রাফিক কনস্টবল মনির।কর্তব্য পালনকালে দুঃসাহসিকতার জন্য সিএমপি কর্তৃপক্ষ তাকে পুরস্কৃত করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে সিএমপি কমিশনার আবদুল জলিল মন্ডল মনিরের হাতে পুরস্কারের নগদ অর্থ বিশ হাজার টাকা তুলে দেন।
গত ৩০ আগস্ট নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডুবন্ত এক শিশুকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন মনির।তার এই সাহসিকতা এ মানবিক ভূমিকার জন্য সিএমপি কর্তৃপক্ষ তাকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এসময় পুলিশ কমিশনার আবদুল জলিল মন্ডল বলেন, কোনো পুরস্কারই টাকার অংকে মাপা যায়না। মনির আহম্মদের এরূপ সাহসিকতাপূর্ণ কাজে সিএমপি পুলিশ তথা পুলিশ বিভাগ খুশি হয়েছে। সে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, মনিরের মাধ্যমে সকল পুলিশের মধ্যে এরূপ মানসিকতা জাগ্রত হোক।
পুরস্কার পেয়ে কনস্টবল মনির ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, কোনো পুরস্কারের আশায় এরূপ ঝুঁকি নেইনি।উদ্ধারকৃত শিশুর সমবয়সী আমার নিজের একটি ছেলে আছে।নিজের ছেলের কথা চিন্তা করে বিবেক ও মানবতার তাড়নায় নিজের জীবনের কথা না ভেবে ছেলেটিকে উদ্ধার করি।
পুরস্কার পেয়ে তিনি খুশি এবং পুলিশ কমিশনার তথা সিএমপি’র প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
গত ৩০ আগস্ট সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল মনির আহম্মদ (৮৪১) নিমতলা ট্রাক ট্রার্মিনাল এলাকায় কর্তব্যরত ছিলেন।সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ট্রার্মিনাল সংলগ্ন খালপাড় এলাকায় অনেক লোকের ভিড় দেখে তিনি এগিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন খালের পানিতে একটি ছেলে ডুবে যাচ্ছে।শুধুমাত্র তার হাত দেখা যাচ্ছে।উপস্থিত লোকজন কেউ তার উদ্ধারে এগিয়ে আসছেনা। এ সময় কনস্টেবল মনির আহম্মদ নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় পানিতে ঝাঁপ দিয়ে ডুবন্ত শিশু সাজ্জাদ হোসেনকে (৮) উদ্ধার করে।
# সবাই যখন দেখছিলেন মনির তখন ঝাঁপিয়ে পড়লেন
জীবন মুছা/এমএএস/আরআইপি