দুই সংসারের দ্বন্দ্বে টেলি সামাদের দুই জানাজা

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩৬ পিএম, ০৬ এপ্রিল ২০১৯

ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা টেলি সামাদ না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ৬ এপ্রিল। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শনিবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।

হাসপাতালেই তাকে শেষবারের মতো দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই। টেলি সামাদের মৃত্যুতে ঢালিউডে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

ব্যক্তি জীবনে দুইবার সংসার পেতেছিলেন টেলি সামাদ। তার প্রথম স্ত্রীর সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলে। তারা হলেন বড় ছেলে আমেরিকা প্রবাসী ওসমান সামাদ, মেজো মেয়ে সোহেলি সামাদ কাকলী ও ছোট মেয়ে সায়মা সামাদ। দ্বিতীয় সংসারে টেলি সামাদের একমাত্র পুত্র দিগন্ত সামাদ। 

প্রথম সংসারের মেয়ে সোহেলী সামাদ কাকলী বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধায় হঠাৎ করে বাবা আবার অসুস্থ হয়ে যান, আমরা তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসি। রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে লাইফ সার্পোটে দেন।

কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। আজ শনিবার দুপুর ১টা ৩০মিনিটে ডাক্তার প্রতিক দেওয়ান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

এদিকে টেলি সামাদের মৃত্যুর পর তার জানাজা নিয়ে দেখা দেয় দ্বন্দ্ব। দুই সংসারের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা জানাজার দাবি উঠে। প্রথম পক্ষের মেয়ে কাকলী দাবি করেন পশ্চিম রাজাবাজারেই টেলি সামাদ থাকতেন। এলাকাবাসী চায় সেখানেই জানাজা হোক তার বাবার।

অন্যদিকে টেলি সামাদের দ্বিতীয় স্ত্রীর সংসারে একমাত্র পুত্র দিগন্ত সামাদও মগবাজারে তার বাবার জানাজা দাবি করেন। দিগন্ত তার মায়ের সঙ্গে মগবাজারেই থাকেন। 

টেলি সামাদের দুই স্ত্রীর সম্পর্কে টানাপোড়েনের গল্প পুরনো। এই বরেণ্য অভিনেতার মৃত্যুও দুই সংসারের বিভক্তি ও দ্বন্দ্ব মেটাতে পারেনি। জানাজা নিয়ে বিভক্তিতে দুই পরিবারের সেই চিত্রটাই ফুটে উঠলো।

অবশেষে জানা গেল, হাসপাতাল থেকে টেলি সামাদের মরদেহ ফার্মগেটের পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় নেওয়া হবে।

সেখানে এলাকার মসজিদে বাদ মাগরিব তার প্রথম জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার দ্বিতীয় সংসারের কথা রাখতে মগবাজারে বাদ এশা দ্বিতীয় জানাজা হবে।

রোববার মুন্সিগঞ্জ সদরের নওগাঁ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে টেলি সামাদকে।

এমএবি/এলএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।