চলচ্চিত্র দিবসে ঐক্যের আহ্বান

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০৪ পিএম, ০৩ এপ্রিল ২০১৯

নানা বৈষম্য আর ভেদাভেদে জর্জরিত ঢাকাই চলচ্চিত্রের আঙিনা। সব ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে চলচ্চিত্রের সুদিন ফেরানোর আহ্বান জানানো হয়েছে এবারের চলচ্চিত্র দিবসে।

আজ বুধবার, ৩ এপ্রিল বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস।এবারের চলচ্চিত্র দিবস উদযাপিত হচ্ছে দুই দিনব্যাপী। প্রথমদিনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে চলচ্চিত্র দিবসের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তথ্য সচিব আব্দুল মালেক, বিএফডিসির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক লক্ষন চন্দ্র দেবনাথ, চলচ্চিত্র দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, কো চেয়ারম্যান নায়ক আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চন, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, অভিনেত্রী রোজিনা, অঞ্জনাসহ আরও অনেকে।

Filmm-Day

বুধবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিএফডিসিতে আসেন। তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন চলচ্চিত্র উদযাপন কমিটির সদস্যরা। চলচ্চিত্র দিবসের উদ্বোধনের আগে তথ্যমন্ত্রী বিএফডিসিতে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিজের বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ চলচ্চিত্রের মধ্যে ঐক্যের ডাক দেন। তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরিয়ে আনতে হবে। সরকার আন্তরিকভাবে অনেক পরিকল্পনাই হাতে নিয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন চলচ্চিত্রের মানুষদের এক হয়ে সৃষ্টিশীল প্রচেষ্টা।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে এই দেশে এফডিসি স্থাপিত হয়। আর তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই চলচ্চিত্রকে শিল্প ঘোষণা করে এর মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন। সেই মর্যাদা ধরে রাখতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।’

Filmm-Day

তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে চলচ্চিত্রের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মানুষ সৈয়দ হাসান ইমামও সকল বিভেদ ভুলে চলচ্চিত্র দিবসকে উৎসব মনে করে এতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বিভেদ করলে কোনোদিন শেষ হবে না। নিজের মর্যাদা ও যোগ্যতাকে ভালো কিছুর জন্য কাজে লাগাতে হবে।’

এদিকে চলচ্চিত্র দিবসের অনুষ্ঠান অভিনয়শিল্পীদের উপস্থিতি কম দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নায়ক আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এই চলচ্চিত্র যাদের বড় তারকা বানিয়েছে তারা আজ বেশিরভাগই আসেননি। সকল অভিনয়শিল্পীদের কার্ড দেয়া হয়েছে, উপস্থিত হওয়ার জন্য তাগাদা দেয়া হয়েছে। কিন্তু আসেননি। তারা দূরে থেকে বড় বড় কথা বলেন। নিজের স্বার্থ ছাড়া সম্মিলিত ভাবনা ভাবতে চান না। এটা দুঃখজনক।’

ইলয়াস কাঞ্চন তার বক্তব্যে বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীর চেষ্টায় অনেক উন্নত হয়েছে। আমরা চাইলে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতায় ভালো একটা পর্যায়ে যেতে পারি। কিন্তু আন্তরিকতা আমাদের সবার মধ্যে থাকতে হবে। চলচ্চিত্রের জন্য দরদ থাকতে হবে।’

Filmm-Day

এদিকে চোখ ধাঁধানো সাজসজ্জা আর চলচ্চিত্রের মানুষদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বিএফডিসি প্রাঙ্গণ। চলচ্চিত্র দিবসের প্রথমদিনের আয়োজনে থাকছে উদ্বোধন, শোভাযাত্রা ও আলোচনা। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে প্রথম চলচ্চিত্র দিবস পালন শুরু হয়। সে হিসেবে এ বছর ৮ম বারের মতো পালিত হচ্ছে চলচ্চিত্র দিবস। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য- চলচ্চিত্র বাঁচলে, সংস্কৃতি বাঁচবে।

এলএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।