সন্ত্রাসীরা কোন দেশের হতে পারে না : অনন্ত জলিল
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে শুক্রবার গুলি চালান ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নামে এক অস্ট্রেলীয়। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৯ জন। আহত হন ৪৮ জন। এই ঘটনায় স্তব্দ সারা বিশ্ববাসী। হামলা চলাকালীন সময়ে ওই মসজিদের দিকে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশের কয়েকজন ক্রিকেটার। দুর্ঘটনার শিকার হতে হতেও ফিরে এসেছেন তারা।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আতঙ্কিত হয়েছেন বাংলাদেশের সকল মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাদের মনের অবস্থা ব্যক্ত করেছেন। উত্তাল হয়েছে মিডিয়াও। শুক্রবার রাতে ঢাকাই সিনেমার নায়ক অনন্ত জলিল তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে বেশ আতঙ্কিত হয়েই লিখেছেন, ‘আমার এখনো বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসীদের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এমন সংবাদ আমি কল্পনাও করতে পারি না। আল্লাহ্ তাআলা নিহতের শহীদী মর্যাদা দান করে উনাদের জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন।’
অনন্ত জলিল আরও লিখেন, ‘আমরা সবাই নিহত মুসল্লীদের জন্য দোয়া করবো এবং তাদের পরিবাবের জন্য দোয়া করবো। তারা যেন এই শোককে কাটিয়ে উঠতে পারেন। নিউজিল্যান্ডের মত শান্তি প্রিয় দেশে এমন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আমাদের জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রতিটি সদস্যকে আল্লাহ নিরাপদে রেখেছেন, সেজন্য শুকরিয়া আদায় করি।
মানুষ ধর্মেরই হোক না কেন, এধরনের হামলাকে আমরা কেউই সমর্থন করি না। হোক তা অন্য ধর্ম বা মুসলমানদের বিপক্ষে। কারণ সবাই মানুষ, আর সব ধর্মের মানুষই একসাথে সুখে শান্তিতে বসবাস করবে- এটা আমাদের সকলের কাম্য। সন্ত্রাসীরা কোন দেশের হতে পারে না, কোন ধর্মের হতে পারে না।’
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে হামলার সময় খুব কাছেই ছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। জুমার নামাজ আদায় করতে মসজিদে ঢোকার মুখে অজ্ঞাত এক নারীর কাছ থেকে হামলার সতর্কবার্তা পেয়ে কোনোরকমে বেঁচে ফিরেছেন তামিম, মিরাজ, তাইজুলরা।
পরে শুরুতে ঘটনাস্থল থেকে অদূরবর্তী হাগলি ওভাল স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুমে এবং পরে নিজেদের টিম হোটেলে ফিরে যান বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। তারা শুরুতেই জানিয়ে দেন যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরার ইচ্ছা। কেননা এমন এক ঘটনার সাক্ষী হওয়ার পর ক্রিকেট খেলার মানসিক অবস্থায় ছিলেন না কেউই।
এমএবি/এলএ/এমএস