বিদেশি চলচ্চিত্রে কর বাড়ানোর প্রস্তাব সুবর্ণা মুস্তফার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:০১ এএম, ০৪ মার্চ ২০১৯

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফা বলেছেন, বিদেশি চলচ্চিত্রের অবাধ প্রদর্শনের কারণে দেশি চলচ্চিত্র মার খাচ্ছে। এ জন্য বিদেশি সিরিয়াল ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনে কর এবং দেশি চলচ্চিত্রে প্রণোদনা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

রোববার (৩ মার্চ) জাতীয় সংসদে এমপি হিসেবে প্রথম বক্তব্যে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবে তিনি এ দাবি জানান।

‘আমরা দেখছি দেশের চ্যানেলগুলো যখন তখন বিদেশি চলচ্চিত্র ও সিরিয়াল চালাচ্ছে’ উল্লেখ করে এগুলো প্রদর্শনের সময় নির্দিষ্ট করে দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ চলচ্চিত্র। দুঃখ জনক হলেও সত্য আমাদের চলচ্চিত্র খুব দুঃসময়ের মধ্যে যাচ্ছে। দেশীয় চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরিয়ে আনতে দ্রুত ৬৪ জেলায় সিনেপ্লেক্স, সিনেমা হলগুলোর পরিবেশ বদলাতে হবে, সেগুলো ডিজিটাল করতে হবে।

আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছি, চলচ্চিত্রের এই দুর্দিনে আপাতত বাংলা চলচ্চিত্রের কর মুক্ত করে দিতে। একই সঙ্গে আমার আবেদন বাংলা চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ক্ষেত্রে সিনেমা হলগুলোকে ইউটিলিটি বিল মুক্ত করে প্রয়োজনে আরও কিছু প্রণোদনা দেওয়া হোক।’

তিনি বিদেশি চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে সংসদে বলেন, ‘যেসব বিদেশি চলচ্চিত্র আমাদের হলে প্রদর্শিত হচ্ছে সেগুলোর কর বাড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে।’

টিভি চ্যানেল ও বিদেশি চ্যানেল সম্পর্কে সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘এত টেলিভিশন চ্যানেল আমাদের কিন্ত ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশনের অভাবে দেশীয় চ্যানেল দর্শক হারাচ্ছে। লাগামহীন বিজ্ঞাপন এবং অব্যবস্থার অবসান দরকার।

একই সঙ্গে ডাবিং করা বিদেশি সিরিয়াল যেন সপ্তাহে একটা নির্দষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে প্রচার করা হয় সেটা নজর রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ টেলিভিশন তাদের রোল মডেল হতে পারে। মঞ্চ ও বেতারকে সারাদেশে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা জরুরি। আশা করছি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আমার এই আবেদন গ্রাহ্যের মধ্যে আনবে।’

সুবর্ণা সংসদে চকবাজারে আগুনে নিহত সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি আরও বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আরও একবার দেশকে অভিভাবক শূন্য করার চেষ্টা করেছিল স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি বেঁচে আছেন।

তার হাত ধরেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মায়ের মমতা দিয়ে তিনি মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্ব দরবারে মাদার অব হিউম্যানিটি হিসেবে ভূষিত হয়েছেন। বিশ্বের অন্যতম রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে পেয়েছেন আর্থ পুরস্কার। শেখ হাসিনা শুধু স্বপ্ন দেখান না, তা বাস্তবায়নও করেন।

তিনি আজ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। অনেক ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে পদ্মা সেতু-রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র আজ দৃশ্যমান। দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে।

এ সময় সুবর্ণা মুস্তাফা তার গলায় একুশে পদক তুলে দেয়া ও এমপি হিসেবে মনোনয়ন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

এইচএস/এমএমজেড

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।