আলাউদ্দিন আলীর চিকিৎসায় ২৫ লাখ টাকা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
কিংবদন্তি সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলীর চিকিৎসার জন্য ২৫ লাখ টাকা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। রক্তচাপ ও ফুসফুসের সংক্রমণসহ একাধিক রোগে অনেক দিন থেকেই ভুগছেন তিনি। তার চিকিৎসা সহযোগীতায় এগিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ রোববার দুপুর ১২ টার দিকে গণভবনে ডেকে আলাউদ্দিন আলীর স্ত্রী ফারজানা মিমির হাতে ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়ী পত্র তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আলাউদ্দিন আলীর স্ত্রী ফারজানা মিমি বলেন, ‘ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আলাউদ্দিন আলীর চিকিৎসায় ২৫ লাখ টাকা সঞ্চয়ী পত্র হিসেবে দিয়েছেন। এখান থেকে প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট অংকের টাকা তার চিকিৎসায় ব্যয় হবে। এছাড়া আলাউদ্দিন আলীর চিকিৎসার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী যথেষ্ট আন্তরিকতা প্রকাশ করেছেন। তার কাছে কৃতজ্ঞ আমরা।’
২০১৫ সালে জুন মাসে আলাউদ্দিন আলীর ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর থেকে তিনি কয়েক দফায় ব্যাংককে চিকিৎসা নিয়েছেন। সর্বশেষ ২২ জানুয়ারি আলাউদ্দিন আলী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত রাজধানীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তখন জানা যায়, তিনি শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন।
১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর, মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরের টঙ্গিবাড়ী থানার বাঁশবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আলাউদ্দিন আলী। তার বাবা ওস্তাদ জাদব আলী, মায়ের নাম জোহরা খাতুন।
আলাউদ্দিন আলীর সংগীতে প্রথম হাতেখড়ি ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে। পরে ১৯৬৮ সালে যন্ত্রশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রজগতে পা রাখেন আলাউদ্দীন আলী। শুরুটা শহীদ আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে, পরে প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজের সঙ্গেই দীর্ঘদিন কাজ করেন তিনি।
চলচ্চিত্রে কাজ করে ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করেছেন তিনি। তার হাত ধরে এসেছে ‘সূর্যোদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি ও আমার বাংলাদেশ’, ‘কেউ কোনো দিন আমারে তো কথা দিল না’, ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো’, ‘যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে, মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে’, ‘একবার যদি কেউ ভালোবাসতো’, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম দেখা পাইলাম না’ ইত্যাদি জনপ্রিয় গান।
এমএবি/এমএস