সালমানের প্রথম প্রেমিকার মেয়েও অভিনয়ে

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৩ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯

বলিউডের সুলতান খ্যাত অভিনেতা সালমান খান ইতোমধ্যেই পার করেছেন ৫৩ বছর। এ পর্যন্ত একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালেও কারোর সঙ্গেই ঘর বাঁধতে পারেননি। অথচ তার প্রথম প্রেমিকার মেয়েও এখন অভিনেত্রী। তার শায়েষা সায়গল। বলিউডের অন্যতম সুন্দরী অভিনেত্রী বলা হচ্ছে তাকে।

একটি গয়না বিপণীর বিজ্ঞাপনের কারণে ইতোমধ্যেই ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ শায়েষা। অখিল নামে একটি তামিল ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে রূপালী পর্দায় পা রাখেন। তার প্রথম ছবিই বেশ জনপ্রিয়তা পায়। এরপর অভিনয় করেছেন অজয় দেবগণের ‘শিবায়ে’ ছবিতে। খুব শিগগিরই আরও এক বলিউড ছবিতে দেখা যেতে পারে তাকে।

মুম্বাইয়ের ইকোলে মণ্ডলে স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন শায়েষা। পরীক্ষায় সব সময় ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এমন কথা বলেন এই বলিউড সুন্দরী। বলিউডের জীবন্ত কিংবদন্তী দিলীপ কুমার থেকে শুরু করে অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীর সঙ্গেই রয়েছে তার আত্মীয়তার সম্পর্ক। শায়েষার মা শাহিন বানুও ছিলেন একজন অভিনেত্রী। তিনি বলিউড কিংবদন্তী দিলীপ কুমারের স্ত্রী শায়রা বানুর ভাই সুলতান আহমেদের মেয়ে। সেই সূত্রে শায়েষা দিলীপ কুমার ও শায়রা বানুর নাতনি।

Sayesa-2

মা শাহিন বানুর সঙ্গে শায়েষা

শায়েষার বাবা সুমিত সায়গলও বলিউড অভিনেতা। শাহিন বানুর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি বিয়ে করেন অভিনেত্রী ফারহাকে। সে দিক থেকে ফারহা হলেন শায়েষার সৎমা।

এদিকে বলিউডের সুলতান সালমান খানের সঙ্গেও শায়েষার এক অন্য রকম সম্পর্ক রয়েছে। অবষ্যশ্য সেটা তার মায়ের দিক থেকে। সালমান খানের কলেজ জীবনের প্রথম প্রেমিকা ছিলেন শাহিন। ১৯ বছর বয়সেই শাহিনের সঙ্গে সালমানের সম্পর্ক ভেঙে যায়। তার পর শাহিন বিয়ে করেন সুমিতকে। সেই সুমিত আর শাহিনেরই মেয়ে শায়েষা। এ কারণে নাকি শায়েষাকে ডেবিউও করাতে চেয়েছিলেন বলিউডের ভাইজান সালমান খান।

বলিউড সূত্রের খবর, সালমান খুবই খেয়াল রাখেন শায়েষার, স্নেহও করেন। এক পার্টিতে দেখাও গেছে তাদের। ঘনিষ্ঠ মহলে সালমান নাকি বলেছেন, শায়েষাকে দেখলেই অল্পবয়সের শাহিনের কথাই মনে পড়ে যায় তার।

এমএমজেড/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।