আটক ভেঙ্কটেশের প্রযোজক, কলকাতার সিনেমায় দুশ্চিন্তা

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১০ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৯

ফের চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে আলোচনায় কলকাতার সিনেমা পাড়া। তদন্তে নেমেছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বৃহস্পতিবার রোজভ্যালি কাণ্ডে তদন্তের জন্য প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতাকে জেরা করতে সিবিআই অফিসাররা ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের অফিসে হানা দেয়।

বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ সিবিআই সদস্যরা সেখানে যান। ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কর্ণধার শ্রীতান্ত মেহতাকে জেরার পর তাকে আটক করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

ভারতের গণমাধ্যমের খবর, প্রথমে সিবিআই অফিসারদের ভেঙ্কটেশের অফিসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। বলা হয়, স্থানীয় থানার অনুমতি ছাড়া এভাবে তল্লাশি করা বা অফিসে এসে জেরা করা যায় না।

গণ্ডগোলের খবর পেয়ে ওই অফিসে পৌঁছায় কসবা থানার পুলিশ। তাদের নিয়েই তদন্তের কাজ করছেন গোয়েন্দারা।

সিবিআই সূত্রে খবর, রোজভ্যালি কাণ্ডে জেরার জন্য টালিগঞ্জের এখনকার নাম্বার ওয়ান প্রযোজককে একাধিকবার জেরার জন্য ডাকা হলেও সিজিও কমপ্লেক্সে যাননি তিনি। তাই এ দিন গোয়েন্দাদের একটি দল পৌঁছে যায় তাঁর অফিসেই।

প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে তাকে জেরা করে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় গোয়েন্দাদের সাহায্য করছিলেন না প্রযোজক। মূলত, কয়েকটি ছবির ব্যাপারে রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর কাছ থেকে প্রায় ২৫ কোটি টাকা নিয়েছিলেন শ্রীকান্ত মোহতা। কিন্তু কথা রাখেননি তিনি। সেই সূত্রেই এ দিন সিবিআই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

কিন্তু তদন্তে সহযোগিতা না করায় সিবিআই সিদ্ধান্ত নেয়, শ্রীকান্ত মোহতাকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তারপরেই দুপুরে নিজেদের গাড়িতে করে শ্রীকান্ত মোহতাকে আটক করে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তদন্তকারী অফিসাররা।

এদিকে ইন্ডাস্ট্রির নাম্বার ওয়ান প্রযোজক আটক হওয়ায় হইচই শুরু হয়েছে কলকাতার সিনেমা পাড়ায়। এই মুহূর্তে এক ডজন সিনেমার কাজ চলছে ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের প্রযোজনায়। শ্রীকান্ত লম্বা সময়ের জন্য ফেঁসে গেলে সেই ছবিগুলোর ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারেও দুশ্চিন্তা ভর করেছে সিনেমা সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।

এলএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।