ঘুমিয়ে থাকো গো বুলবুল...
সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।
ভক্ত অনুরাগীদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে বিদায় নিলেন সুরের পাখি বুলবুল। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলা গানের সমৃদ্ধ এক অধ্যায়ের ইতি ঘটল।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। তার প্রয়াণের খবরে বাংলা গানের আঙিনায় শোকের মিছিল নেমে আসে। তার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংস্কৃতি অঙ্গনের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ও ব্যক্তিত্বরা।
বুলবুলের এক বোন থাকেন কলকাতায়। তার অপেক্ষায় মঙ্গলবার বুলবুলের মরদেহ রাখা হয় হিমঘরে।
বুধবার বেলা ১১টায় তার মরদেহ নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। বুলবুলের পরিবারের চাওয়া অনুযায়ী বাজানো হয় আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ‘সবক’টা জানালা খুলে দাও না’ গানটি। এরপর তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধা শেষে মরদেহ যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। সেখানে প্রথম জানাজা শেষে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় এফডিসিতে। সেখানে আরেক দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর তার পরিবারের দাবি অনুযায়ী বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
গানের সুরে এ দেশের মানুষকে আমৃত্যু মাতিয়ে রেখেছিলেন বুলবুল। চলচ্চিত্রের গানে তিনি দেখিয়েছেন অভাবনীয় মুন্সিয়ানা। ‘নারীর মন’ ছবিতে তার কথা, সুর ও সংগীতে ‘ঘুমিয়ে থাকো গো সজনী’ শিরোনামের একটি গান খুব জনপ্রিয় হয়।
সেই গানে প্রেমিকাকে ফুলের বিছানায় ঘুমানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন বুলবুল। আর বাস্তব জীবনের নির্মম নিয়তির টানে মাটির বিছানায় চিরদিনের মতো ঘুমিয়ে গেলেন তিনি।
এলএ/এএইচ/জেআইএম